রাজনীতি,
সন্ত্রাস ও দুনীর্তিমুক্ত ভিক্টোরিয়া কলেজ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে
ছাত্র-ছাত্রীরা। শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বৈষম্য
বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার এ আয়োজন করে তারা।
লিখিত বক্তব্যে
ইতিহাস বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মাকসুদা আক্তার বলেন,কলেজের সদ্য
পদত্যাগকারী অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান ও কতিপয় শিক্ষক কলেজের কোটি
কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ১৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রয়েছে ৪জন শিক্ষক
ও ৩জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়টি নিয়ে দুদকের তদন্ত চলমান।
দুর্নীতিবাজ
এসব শিক্ষা ক্যাডারের পদত্যাগকে স্বাগত জানিয়েছে কলেজের প্রায় ৮৫ ভাগ
শিক্ষক। একই সাথে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে স্বৈরাচার পন্থীদের বিনাভোটের শিক্ষক
পরিষদ।
অনার্সে পড়ুয়া এ ছাত্রী বলেন, উদ্বেগের সাথে জানাচ্ছি কতিপয়
আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর, দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষকে আবার কলেজে ফিরিয়ে আনতে
ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে ছাত্রদের রক্তের উপর দিয়ে
অধ্যক্ষকে চেয়ারে বসাবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন। কলেজের যে সকল শিক্ষক এ ঘৃণ্য
ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের তালিকা আমাদের হাতে রয়েছে। শিক্ষকদের সম্মানের
খাতিরে আমরা তা প্রকাশ করছি না।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে তিনি বলেন,
আমাদের যুদ্ধ কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে না। অনিয়ম ও দুনীর্তির বিরুদ্ধে। যদি
কোন শিক্ষার্থী আহত বা নিহত হয়, এ দায়বার স্বৈরাচার-অতিউৎসাহী শিক্ষকদের
নিতে হবে। আপনারা চাকুরিবিধি মেনে দায়িত্ব পালন করুন।
সংষ্কারের এ সময়ে
আমরা আপনাদের পাশে আছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলে যৌক্তিকভাবো আমরা অতিরিক্ত
ফি কমানোর দাবি জানাচ্ছি। বিনা ভোটে নয়, আপনাদের সরাসরি ভোটে শিক্ষক পরিষদ
গঠন করা হোক। নতুন অধ্যক্ষ যোগদান না করা পর্যন্ত যে কোন একজন জৈষ্ঠ্য
অধ্যাপক কলেজের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আমরা আপনাদের
সন্তান। রাষ্ট্র সংষ্কার ও কলেজ সংষ্কারের অন্তর্র্বতীকালীন সময়ে সবার
সহযোগীতা চাই। আমরা জানি, আইন মানুষের কল্যাণে, আইনের কল্যাণে মানুষ নয়।
এ
সময় উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আল মামুন, রবিউল হাসান,
লামিনা ইসলাম, হাসিবুল ইসলাম, আফরোজা মীম, বেলায়েত হোসেনসহ কলেজের
উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি শাখার অর্ধশতাধিক ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ
সম্মেলন শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা বলেন। যদি কেউ
রাজনীতি, সন্ত্রাস ও দুনীর্তির সাথে আপোষ করে, সে আমাদের সদস্য নয়।