কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা অতি বৃষ্টি ও উজানের পানি এসে পানিতে বন্দী হয়ে পড়েছন হাজার হাজার মানুষ।
অতি বৃষ্টি ও উজানের পানির কারনে বরুড়া উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মধে প্রায় শতাধিক গ্রামের মানুষ পানি বন্দী হয়ে কষ্টে দিনানিপাত করছেন। উপজেলা লক্ষীপুর, পয়ালগাছা ও ভাউকসার ইউনিয়নের অধীকাংশ গ্রামের মানুষ পানি বন্দী হয়ে আছে। পৌরসভার কয়েকটি গ্রামে পানি নিশকাশনের
ব্যবস্হা না থাকায় বরুড়ার পাঠানপাড়া, হরুয়া, জিনসার, নয়নতলা, মনিপুরা গ্রামে অনেকে আজ ৪/৫ দিন পানি বন্দীতে আছেন। পাঠানপাড়ার শতাধীক পরিবারের ঘরে হাঁটু সমান পানি দেখা যায়। একই চিত্র বরুড়া সওদাগর পাড়ায় রয়েছে। বরুড়া উপজেলার আরো কয়েকটি গ্রামে চিত্র এমন রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং ওরাই আপনজন সংগঠনের সহায়তায় পাঠানপাড়া সওদাগর পাড়ায় ছিড়া, মুড়ি ও গুড় সহ শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
পাঠানপাড়ার মোল্লা পাড়া ও কামলা পাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং মানব সেবা সংগঠনের মাধ্যমে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।
বরুড়া গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি হাজী আমির হোসেনের সহায়তায় একই এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং এর আহবানে সাড়া দিয়ে ওরাই আপনজন সামাজিক সংগঠন বরুড়া কুমিল্লা শতাধিক ভান বাসি মানুষের মাঝে চাউল, ডাল, আলু ইত্যাদি পণ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
প্রায় দিন বিকেল বেলায় অনেক সময় রাতে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং লক্ষীপুর, পয়ালগাছা ও ভাউকসার ইউনিয়নে পানিতে নেমে ঘুরে ঘুরে অসহায় ভান বাসি মানুষের পাশে ত্রান সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছেন।প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়ে ও দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। যাহা সুশীল সমাজের চোখে মুখে তাঁর প্রশংসা ফুটে উঠেছে।
একই ভাবে বরুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী পুলিশের ব্যাক্তিগত অর্থায়নে রাতের আঁধারে ত্রান নিয়ে বাহির হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন ভান বাসি মানুষের পাশে। পুলিশের এ মানবিক কাজ কে ও সাধুবাদ জানিয়েছেন বরুড়া নাগরিক সমাজ।
বরুড়া অনেক সামাজিক সংগঠন ত্রান নিয়ে বরুড়া উপজেলার বাহিরে ফেনি, নোয়াখালী ও কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা প্রতিনিয়ত যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং কে কেহ অবহিত করে যান আবার অনেকে স্ব উদ্যেগে ত্রাণ নিয়ে ভান বাসি মানুষের পাশে দাঁড়ান। বরুড়া উপজেলার বাহিরে যে সকল সামাজিক সংগঠন ত্রান বিতরণে চোখে পড়েছে বিশেষ করে বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ওরাই আপনজন, জীবন শৈলী, জাগো দেওড়া, তাকওয়া ফাউন্ডেশন, গাউছিয়া কমিটি, পুরানকাদবা বায়তুস সুন্নাহ মাদরাসা, বরুড়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা শিক্ষার্থী, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত, বেকী সোলেয়মান মিয়া ও ফিরোজা বেগম ফাউন্ডেশন সহ অনেক সংগঠন।
রাজনৈতিক দলের অনেক সংগঠন বরুড়া উপজেলার বাহিরে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন।
অনেক মসজিদ ও সামাজিক সংগঠন থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং এর ত্রান কমিটিতে নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন। তিনি সঠিক ও সুষম বন্টন করে বরুড়ার মানুষের মনে স্হান করে নিয়েছেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আহমেদ হাছান তাঁকে সার্বিক ভাবে সহায়তা করেন।