নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লার দানব খ্যাত সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের
দায়ের করা একটি মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন কুমিল্লার সবচেয়ে জনপ্রিয়
পত্রিকা দৈনিক কুমিল্লার কাগজের সম্পাদক ও কালের কণ্ঠের সাবেক স্টাফ
রিপোর্টার আবুল কাশেম হৃদয়। সাবেক এমপি বাহারের চাটুকার ও দেশের একটি শীর্ষ
পত্রিকার সাবেক প্রতিনিধিসহ আরো দুই সাবেক সাংবাদিকের প্ররোচনায় সাংবাদিক
আবুল কাশেম হৃদয়কে শিক্ষা দিতে ৫ কোটি টাকার মানহানী মামলা করেছিলেন সাবেক
এমপি বাহার। শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মামলার পলাতক আসামী ছিলেন এ মামলার
আইনজীবী।
২০১১ সালে দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘এমপি বাহারের বাহারী রাজত্ব’
শিরোনামে প্রকাশিত এক রিপোর্টের প্রেক্ষিতে সাবেক এমপি বাহার নিজে বাদি হয়ে
এ মামলাটি দায়ের করেছিলো। সে সময় এমপি বাহারের ২য় শীর্ষ নেতা ও প্রয়াত
মেয়র আরফানুল হক রিফাত বাদি হয়ে সাবেক এমপির কাছে ৫লাখ টাকার চাঁদা চাওয়ার
মামলা ও ৩য় শীর্ষ নেতা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা
দায়ের করেছিলেন। মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আসার পর সাংবাদিক আবুল
কাশেম হৃদয়ের বিরুদ্ধে সাবেক এমপির কাছে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগের প্রমাণ না
পাওয়া তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার কুমিল্লার ১ম যুগ্ম জেলা জজ
আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাওহিদা আক্তার কজ লিস্টে থাকা মামলাটি খারিজ করে
দেন। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ২০১১ সালের ২৯
সেপ্টেম্বর দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় সাবেক এমপি বাহারের বিরুদ্ধে একটি
সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশের কারনে ২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর
কুমিল্লার আদালতে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলাটি দায়ের করেন হাজী বাহার ।
মামলায় সাংবাদিক আবুল কাশেম হৃদয় ছাড়াও ৫ জনকে বিবাদি করা হয়। কুমিল্লায়
অবস্থান করার কারনে আবুল কাশেম হৃদয় ছাড়া এ মামলা আর কোন বিবাদি আদালতে
আসেননি।
সাবেক এমপি বাহারের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এড. মাসুদুর রহমান শিকদার ও সৈয়দ নুরুর রহমান।
২০২১
সালের ৮ মার্চ মামলাটির শুনানীর সময় সাংবাদিক আবুল কাশেম হৃদয়ের আইনজীবী
এড. মমতাজুল করিমের জেরার মুখে নাস্তানাবুধ হয় সাবেক এমপি বাহার। প্রকাশ্য
আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তাকে অনেকটা অসহায় দেখাচ্ছিল সে দিন। সাবেক এমপিকে
অভিজ্ঞ আইনজীবী মমতাজুল করিমের অসাধারন জেরার ঘটনা অনেকদিন কুমিল্লার
আদালতে আলোচ্য বিষয় ছিল। অভিজ্ঞ আইনজীবী মমতাজুল করিম কয়েকদিন আগে ইন্তেকাল
করেন।