উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে কুমিল্লার দুঃখ গোমতী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় একে এক তলিয়ে যেতে থাকে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রাম। প্রথম দিকে বানের তীব্রতা বেশি না থাকায় ঘর-বাড়িতে অবস্থান নেওয়া মানুষ হয়ে পড়ে পানিবন্দি। বেরিবাঁধ ভিতর এলাকায় প্রায় সকল বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়ায় ১৫ কেন্দ্রে আশ্রয় নেয় বানবাসি মানুষ। এখন পানি কমতে শুরু করায় লোকজন আবার বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে ভয়াবহ এক সাপ্তাহ জুড়ে বানভাসি মানুষদের বন্ধু হয়ে কাজ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আলহাজ¦ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ ও তার পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কায়কোবাদ ও তাঁর পরিবার বন্যার্ত পরিবারের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরনসহ বাঁধ নির্মাণ, চিকিৎসা সেবা, উদ্ধার তৎপরতা, হেল্প ডেস্ক চালুকরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে। তাঁরা তীব্র পানির ভয়াবহতা উপেক্ষা করে বানবাসি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রের একাধিক লোকজন জানায়, কায়কোবাদ ও তাঁর পরিবার উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার সব রকম প্রেক্ষাপটে মানুষের পরম বন্ধু হয়ে কাজ করেন। এবারের বন্যায় তাদের উদ্যোগ আমাদের রীতিমতো হতবাক করেছে।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা মজিবুল হক বলেন, ‘কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ ও তার পরিবারের আর্থিক সহযোগিতায় বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের সদস্যরা রান্না করা খাবারসহ বিভিন্ন প্রকার ত্রাণ ও চিকিৎসা সেবা দুর্গত এলাকাসহ আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে।