বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
২ মাঘ ১৪৩১
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, কারণ ও করণীয় দিকনির্দেশনা
এ কে এম আব্দুল্লাহিল বাকী
প্রকাশ: রোববার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:০১ এএম |

  আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি,  কারণ ও করণীয় দিকনির্দেশনা
‘আমরা ছাত্র/ আমরা বল/ আমরা ছাত্রদল’- দ্রোহের কবি নজরুল যখন লিখলেন তখন তিনি এর স্বরূপ বুঝতে পারেননি। আজ তিনি থাকলে ২৪-এর ৩৬ জুলাই ছাত্রশক্তির স্বরূপ দেখতে পারতেন। কেমন তাদের অমিত তেজ! আর কেমন তাদের আত্মত্যাগের স্পৃহা! বিশ্ব দেখল আবু সাইদ কীভাবে তপ্ত সিসা বুক পেতে নিল, দেখল মুগ্ধের আত্মত্যাগ!
কেমন তাসের ঘর ভেঙে গেল হুড়মুড় করে! বিপ্লব সফল হলো। তবে স্বীকার করতেই হবে যে, বিপ্লব-পরবর্তী এর একটা সহিংস রূপ আছে। এই পরিবর্তনের ধাক্কায় অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ আগস্ট আগের সরকারের পতনের পর এবং এর পরবর্তী সময়ে পুলিশ স্টেশনগুলোর ওপর হওয়া আক্রমণের ফলে দেশের বেশির ভাগ থানাই তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৫৯৯টি থানাই আবার কার্যক্রম শুরু করেছে। 
এর মধ্যে মেট্রোপলিটন শহরগুলোর ১১০টি থানার মধ্যে ৯৭টি এবং জেলার ৫২৯টি থানার মধ্যে ৫০২টি পুনরায় কার্যকর হয়েছে। ইতিহাসে যখনই কোনো বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে, তখনই তা সমাজের ভেতরে একটি গভীর পরিবর্তন এনেছে। এটি যেমন ফরাসি বিপ্লবের পরে ঘটেছিল, তেমনি আমেরিকান বিপ্লব, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এবং সাম্প্রতিক আরব বসন্তের পরও তা দেখা গেছে।
১৭৮৬-৮৭ সালের আমেরিকান বিপ্লবের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা অর্জন করলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং সাবেক যোদ্ধারা নিজেদের স্বার্থে সংঘাতে লিপ্ত হয়। যেমন- শেজ বিদ্রোহ ছিল উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যেখানে ম্যাসাচুসেটসের কৃষকরা কর এবং ঋণের কারণে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। এই বিদ্রোহে অনেক মানুষ মারা যায় এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়। 
বিপ্লবের পর দাসদের স্বাধীনতা প্রশ্নে সংঘাত সৃষ্টি হয়। ১৭৯১ সালে ভার্জিনিয়ার ‘গ্যাব্রিয়েলের বিদ্রোহ’-এর মতো দাস বিদ্রোহগুলো দমন করা হয়েছিল এবং এতে অনেক দাসকে হত্যা করা হয়। ফেডারেলিস্ট এবং অ্যান্টি-ফেডারেলিস্টদের মধ্যে মতবিরোধ এবং সংঘাত স্থানীয় পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণ হয়ে ওঠে। তবে একটি শক্তিশালী সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা এ সমস্যাগুলোর সমাধানে সহায়ক হয়েছিল।
আমেরিকান বিপ্লবের পর ফরাসি বিপ্লব ঘটে ১৭৮৯ সালে। এই বিপ্লবের পর দেশের ভেতরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটে। ফরাসি বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে বিপ্লবী সরকার বিপ্লববিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে গিলোটিন ব্যবহার করে। বিশেষত ১৭৯৩-৯৪ সালের ‘আতঙ্কের রাজত্ব’ (জবরমহ ড়ভ ঞবৎৎড়ৎ)-এর সময় প্রায় ১৬ হাজার থেকে ২৫ হাজার মানুষকে গিলোটিনে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে অনেকেই ছিলেন অভিজাত শ্রেণির। 
বিশেষত, ভেন্ডে অঞ্চলে সরকারবিরোধী বিদ্রোহের পর হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। গণহত্যা এবং অন্যান্য সংঘাতের কারণে বিপ্লব-পরবর্তী কয়েক বছরে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। ফ্রান্সের বিপ্লবী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ক্ষমতার লড়াই এবং সাবেক রাজতন্ত্রপন্থিদের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। 
এর ফলে সারা দেশে বিভিন্ন সামরিক সংঘাত ও গৃহযুদ্ধের সৃষ্টি হয়। ক্ষমতার লড়াই, সামাজিক বৈষম্য এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থা থেকে উদ্ভূত এই সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা সমাজে এক গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। ফরাসি বিপ্লব-পরবর্তী এই বিশৃঙ্খল সময়ে যে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছিল, তা শুধু ফ্রান্স নয়, পুরো বিশ্বকে একটি শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা দিয়েছে। 
১৯১৭ সালের রাশিয়ান বিপ্লব ছিল একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এই বিপ্লবের মাধ্যমে জার শাসনের পতন ঘটে এবং বলশেভিকদের নেতৃত্বে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। বলশেভিকদের ক্ষমতা দখলের সময় এবং পরবর্তী দিনগুলোতে বিপ্লবী বাহিনী এবং বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। 
বিশেষ করে পেত্রোগ্রাদ (বর্তমান সেন্ট পিটার্সবার্গ) এবং মস্কোয় সংঘর্ষের ঘটনা বেশি ঘটে। ১৯১৮ সালে বলশেভিকরা তাদের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ‘রেড টেরর’ নামে পরিচিত একটি দমনমূলক অভিযান শুরু করে। এই অভিযানের সময় বিপ্লববিরোধী এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের হত্যা করা হয়। আনুমানিক ১ থেকে ২ লাখ মানুষকে ‘রেড টেরর’ অভিযানে হত্যা করা হয়। অনেকেই বিনা বিচারে বন্দি হন এবং কঠোর শ্রমশিবিরে পাঠানো হয়, যেখানে বহু মানুষ মারা যায়। 
মধ্য এবং পূর্ব ইউরোপের কিছু দেশে ২০০০-০৯ সালের মধ্যে ‘কালার রেভ্যুলুশন’ নামে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরাচারী শাসনের পতনের জন্য একাধিক গণ-আন্দোলন হয়েছিল। এই আন্দোলনগুলো প্রাথমিকভাবে শান্তিপূর্ণ হলেও পরে কয়েকটি দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটে এবং সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে হতাহতের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ছিল। মোটা দাগে কারণগুলো ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক সংঘাত, বিরোধী দলগুলোর ওপর নিপীড়ন। 
আরব বসন্ত ঘটেছিল ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার একাধিক দেশে। এই আন্দোলনগুলো শুরু হয়েছিল স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। মিসরে আরব বসন্তের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারককে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। 
২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির পতনের পর দেশটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটে এবং ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে আনুমানিক ৯০০ থেকে ১ হাজার লোক নিহত এবং ১০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়। 
খুবই সংক্ষিপ্ত পরিসরে ইতিহাসের পাতা উল্টিয়ে যা দেখা গেল, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে বিপ্লব সব কালেই প্রচুর রক্ত ঝরিয়েছে। আমাদের দেশেও ছাত্রবিপ্লব-উত্তর একটি সংকটময় সময় বিরাজ করছে। ঠিক ৩৬ জুলাই যখন জনতা গণভবন দখলে নিল তার পর শুরু হলো শেখ মুজিবের মূর্তি ও ম্যুরাল ভাঙার মহোৎসব। 
দেশজুড়ে শুরু হলো থানাগুলোতে আগুন দেওয়া এবং লুট ও ভাঙচুর। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং নেতাদের বাড়িঘর ও দোকানপাট জ্বালানো হলো। কিছু হিন্দু ধর্মাবলম্বীও নির্যাতনের শিকার হলেন। থানাগুলো থেকে পুলিশ সদস্যরা প্রাণভয়ে পালালেন। কিছু প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা ঘটল। কোনো কোনো এলাকায় ডাকাতি শুরু হলো। 
এই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ অনুসন্ধান করা যাক। প্রথমে আসে পুলিশ প্রসঙ্গ। বিপ্লবের পর দেশ পুলিশশূন্য হয়ে পড়ল। দেশের সব থানা থেকে তারা পালিয়ে গেল। পুলিশই হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রথম স্তম্ভ। পুলিশ না থাকলে কে শৃঙ্খলা রক্ষা করবে? বিগত আওয়ামী শাসনামলের ১৫ বছরে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়নে প্রধান ভূমিকা ছিল পুলিশের। 
এ ছাড়া নিরীহ জনগণের ওপর অত্যাচার ও ঘুষ-বাণিজ্যের অবাধ প্রসার তো ছিলই। সবশেষ এই ছাত্র আন্দোলন দমনে পুলিশ যেভাবে নির্বিচারে গুলি চালায় তাতে তারা তাৎক্ষণিকভাবে গণশত্রুতে পরিণত হয়। জনরোষ পড়ে পুলিশ সদস্য এবং তাদের পরিবারের ওপর। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম এমন ঘটনা ঘটল যে, পুলিশ সদস্যরা সবাই জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য দিগ্বিদিকশূন্য হয়ে পলায়ন করল। 
কয়েক দিন অতিবাহিত হলো যখন না আছে থানায় পুলিশ আর না আছে রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কেউ। এর সুযোগে কিছু দুষ্কৃতকারী রাতে ডাকাতিতে নেমে পড়ল। বিজিবি সদস্যরাও প্রথম থেকে আন্দোলন দমনে যুক্ত থাকায় ছাত্রদের রোষের তালিকায় থাকায় তারাও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রাক্ষায় নিস্পৃহ ভূমিকায় চলে যায়। 
সেনাবাহিনী পুলিশ-বিজিবির বিশাল শূন্যতা রক্ষায় অপারগ। তাই তারা যেটুকু পারে প্রতিটি এলাকায় সহিংসতার খবর পেলে ছুটে গিয়ে তা দমনে সচেষ্ট হয়। ছাত্রবিল্পব-পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলেও এর যে ফল সহিংসতা ও মৃত্যুর নিরিখে নিশ্চয়ই এই লেখনীর প্রথমে উল্লেখ করা আমেরিকা, ফ্রান্স, রুশ, চায়নিজ বা হালের আরব বসন্ত বিপ্লবের মাত্রা ও ব্যাপ্তির তুলনায় নিতান্তই কম। 
তবে ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি যে আরও অবনতি হবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ভবিষ্যতে অবনতিশীল পরিস্থিতির বহু উপাদান এখনো বিদ্যমান। এর একটি হলো পরাজিত ও পলায়নপর আওয়ামী সমর্থকগোষ্ঠী এবং দ্বিতীয়টি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর ইন্ধন। 
এবার করণীয় প্রসঙ্গে আলাপচারিতায় আসা যাক। পুলিশ বাহিনীকে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সক্রিয় করতে হবে। পুলিশের এই গণবিরোধী ভূমিকার জন্য এর লোগো পরিবর্তন এবং পোশাক পরিবর্তনের প্রস্তাব এসেছে। এটা কার্যকর করা যায়। এ ছাড়া অতি দ্রুত পুলিশের ভেতর থেকে দুর্নীতির শিকড় উৎপাটন করা দরকার। 
পুলিশ সদস্য এবং কর্মকর্তাদের ঘুষ, চাঁদা, অবৈধ দখল ইত্যাদির মাধ্যমে অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার গল্প সমাজে সহনীয় হয়ে গেছে। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। প্রত্যেক সদস্যের বেতন ও ভাতাবহির্ভূত আয়ের হিসাব দিতে হবে। এই অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে। যেসব সদস্য ও কর্মকর্তা আওয়ামী অনুকম্পায় পদোন্নতি, পদায়ন ও সুবিধাদি ভোগ করেছে ও লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করেছে, তাদের দ্রুত অপসারণ করা। 
মেধাবী ও পেশাগতভাবে দক্ষ সদস্য ও কর্মকর্তাদের মূল্যায়ন করে পদোন্নতি ও পদায়ন করা। দ্রুত পুলিশ বাহিনীতে নতুন নিয়োগের মাধ্যমে জনবলের ঘাটতি পূরণ করা। শোনা যায়, ভুয়া নাম ও ঠিকানার মাধ্যমে বহু পুলিশ সদস্য কর্মরত আছে। তাদের তদন্তের মাধ্যমে বের করে শাস্তির আওতায় আনা। 
এই বিপ্লবের কালে দেখা গেছে, ক্ষুদ্রাস্ত্র ব্যবহার করে কী নির্মমভাবে ও নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের মারণাস্ত্রের বদলে অপ্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বাড়ানো। সবশেষে যতদিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্থিতাবস্থায় না আসে ও পুলিশ বাহিনী পূর্ণ সক্ষমতা ফিরে না পায়, ততদিন সেনাবাহিনীকে সহায়ক শক্তি হিসেবে দেশের প্রতিটি জেলায় নিয়োজিত রাখা। এই সময়কাল যত কম হয় ততই ভালো; তিন থেকে ছয় মাস বড়জোর।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা















সর্বশেষ সংবাদ
পদত্যাগ করলেন টিউলিপ
কুমিল্লার দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং ‘রতন গ্রুপের’অন্যতম সদস্য মাইনুদ্দিন আটক
দুটি পিস্তল ও ধারালো অস্ত্রসহ দুই সন্ত্রাসী আটক
কুমিল্লায় দুই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কুমিল্লা মেডিকেল ছেড়ে কোথায় গেলো শিশুটি?
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লায় তিন প্রতিষ্ঠানকে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে পুলিশে সোপর্দ
কুমিল্লার দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং ‘রতন গ্রুপের’অন্যতম সদস্য মাইনুদ্দিন আটক
প্লাস্টিক জমা দিন গাছের চারা নিন
কুমিল্লায় ‘প্রেমিকের’ সাথে দেখা করতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার দুই নারী
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২