কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া ইউনিয়নের চৌকুড়ি গ্রামের জাফানন্দী পাড়ার জাহিদুল ইসলাম নিশান নামে এক কৃষি উদ্যোক্তার দুই একর কৃষি জমির ফসল ও দেড় একর জমির উপরে গড়ে উঠা মৎস্য প্রজেক্টের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে ওই উদ্যোক্তা অন্তত ১১লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলাম নিশান।
সোমবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাহিদুল ইসলাম নিশানের মালিকানাধীন দেশবাংলা নামের কৃষি ও মৎস্য প্রজেক্ট এখনো হাঁটু সমান পানির নিচে তলিয়ে আছে। পানির উপরে ভাসছে তার ৩টি কলা বাগানের কিছু কলা গাছ ও নার্সারির চারা গাছের উপরের অংশ। বাগান গুলোর পাশে বেশকিছু জমি নিয়ে গড়ে উঠা সবজি ক্ষেতের মাচা গুলো এখনো পানির নিচে। এছাড়া তার মাছের প্রজেক্টের পুকুর গুলোর পাড়ে এখনো গলা সমান পানি।
ক্ষতিগ্রস্ত তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলাম নিশান বলেন, আমি সৌদিআরব প্রবাসী ছিলাম। গত ৩ বছর পূর্বে সৌদিআরব থেকে দেশে এসে বাণিজ্যিক কৃষি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করি। দেশের খাদ্য উৎপাদনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিজেকে স্বাবলম্বি করতে চেষ্টা করি। আমি প্রায় ২ একর জমিতে শাক-সবজি চাষাবাদ করেছি এবং দেড় একর জমিতে মাছের প্রজেক্ট করে মাছ চাষ করি। আমার কৃষি জমি গুলোতে ছিল ৯ জাতের কলা গাছ, লাউ, সিম, লাল শাক, ধুন্দল, ঢেঁড়স, বেগুন ও বরবটি। আমার প্রজেক্ট গুলো খুব ভাল চলছিল, কিন্তু হঠাৎ বন্যায় আমার কৃষি জমি গুলো পানির নিছে তলিয়ে যায় এবং মাছের প্রজেক্টের মাছ গুলো পানিতে ভেসে যায়। কৃষি জমি এবং মাছের প্রজেক্ট মিলে আমার প্রায় ১১ লক্ষ টাকা মূলধন হারিয়েছি। এই ১১ লক্ষ টাকার মধ্য আমার নিজের ৪ লক্ষ টাকার মত পুঁজি ছিল, বাকি ৫ লক্ষ টাকা মানুষ থেকে ধারদেনা ও ২লাখ টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এ প্রজেক্ট গুলোতে বিনিয়োগ করি। কিন্তু বন্যায় সব কিছু তলিয়ে গিয়ে আমার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট উপজেলা কৃষি অফিসার নজরুল ইসলাম ও নাঙ্গলকোট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত খামারি লিখিত ভাবে আবেদন করলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করে তাদেরকে সহযোগিতার বিষয়ে চেষ্টা করা হবে।