কুমিল্লার
মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে পানিবন্দি লোকদের মাঝে
চিকিৎসা-ওষুধ, রান্না করা খাবার ও নিত্যপণ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন জ্ঞানের
আলো পাঠাগারের কর্মকর্তারা। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চাল, ডাল, তেল, লবন,
আলু, পিয়াজ, লবন, সাবান, মোমবাতি, মশার কয়েল, গ্যাস লাইটার ও মেয়েদের
সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও রান্না করা খাবার
পরিবেশন, বিনামূল্যে চিকিৎসার ও ওষুধ দেয়াসহ শিশু ও নারী-পুরুষের মাঝে
পোষাক সামগ্রী বিতরণ করছে জ্ঞানের আলো পাঠাগার বন্যা সহায়তা টিম। এ দলটি গত
শনিবার থেকে সোমবার মনোহরগঞ্জে অবস্থান করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ
বিতরণ করেন।
উপজেলার নিলকান্ত সরকারি ডিগ্রি কলেজ আশ্রয় কেন্দ্রের
স্বেচ্ছাসেবক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের সোহাগ বলেন, এই আশ্রয় কেন্দ্রে ৬৯৫ জন
বন্যা দূর্গত মানুষ রয়েছেন। জ্ঞানের আলো পাঠাগার টিম একদিন রান্না করা
খাবার দিয়েছেন। নৌকা নিয়ে বিভিন্ন গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় বন্যা কবলিতদের
খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও কাপড় সামগ্রী
বিতরণ করেন। অত্যন্ত সু-শৃঙ্খলভাবে জ্ঞানের আলো পাঠাগারের সদস্যরা
মনোহরগঞ্জে বন্যার্তদের সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। তাদের এই
কার্যক্রম এই এলাকায় ব্যাপক প্রসংশা কুড়িয়েছে।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা বলেন, ‘মৈশাতুয়া নিলকান্ত ডিগ্রি কলেজ
পরিদর্শনে গিয়ে জ্ঞানের আলো পাঠাগার টিমের সাথে দেখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের
সদস্যরা টানা কয়েক দিন মনোহরগঞ্জে থেকে মানুষের জন্য যে কাজ করেছেন, সেটি
প্রশংসনীয়। সরকারের পাশাপাশি জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান,
ব্যক্তি ও সংস্থা বন্যার্তদের সহায়তায় হাত বাড়িয়েছেন।
জ্ঞানের আলো
পাঠাগারের বন্যার্তদের সহায়তা টিম সদস্যদের মাঝে ছিলেন, টিম লিডার ও
জ্ঞানের আলো পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল,
সুশান্ত বণিক, শেখ আব্দুর রহমান, সোহান শেখ, আব্দুল্ল্হা, জিয়াদুল ইসলাম
লিমন, রিয়ান মোল্লা ও শরিফ শেখ।
জ্ঞানের আলো পাঠাগার বন্যা সহায়তা টিমের
পরিচালক মনিরুজ্জামান শেখ জুয়েল বলেন, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ও বিভিন্ন
ব্যক্তির আর্থিক সহায়তায় অর্থ সংগ্রহ করে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার
বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে পানিবন্দি দুইশত পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল,
লবন, আলু, পিয়াজ, লবন, সাবান, মোমবাতি, মশার কয়েল, গ্যাস লাইটার ও মেয়েদের
সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। মৈশাতুয়া নিলকান্ত সরকারি ডিগ্রী কলেজ
কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া তিন হাজার ব্যক্তিকে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হয়
এবং এই আশ্রায়ন কেন্দ্রের এক হাজার ব্যক্তিকে পোষাক সামগ্রী ও
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার পাশাপাশি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া ও পানিবন্দি
দুই হাজার ব্যক্তিকে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হয়। পাঁচশত ব্যক্তিকে
বিনামূল্যে চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুধ দেওয়া হয় পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সের এক
হাজার শিশু ও নারী-পুরুষের মাঝে পোষাক সামগ্রী বিতরণ করা হবে।