প্রকাশ: বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:৫৬ পিএম |
নারী-পুরুষের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ স্বাভাবিক। বৈধ ভালোবাসায় এদের সিক্ত হওয়ার একমাত্র হালাল মাধ্যম হচ্ছে বিয়ে। বিয়ের আরবি শব্দ নিকাহ। শাব্দিক অর্থ দুটি জিনিস একত্রিত করা। কখনও কখনও নিকাহ শব্দটি বন্ধন বা চুক্তি অর্থে ব্যবহৃত হয়। শরিয়তের পরিভাষায় বিয়ে হলো, এমন একটি চুক্তি যাতে বিবাহ দেয়া বা বিবাহ করা ইত্যাদি শব্দের মাধ্যমে উপভোগ বা একত্রে থাকা বা পরস্পর অংশীদার হওয়া বুঝায়।
ইসলামে বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক কনের অনুমতি নেয়া জরুরি এবং বিয়ের আকদের সময় কনেপক্ষ থেকে ইজাব করা হলে বা প্রস্তাব দেয়া হলে বরের ‘কবুল করলাম’ বলে তা গ্রহণ করা জরুরি।কনের সম্মতি নিয়ে দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে কনের অভিভাবক যদি নিজে বা যিনি বিয়ে পড়াবেন তার মাধ্যমে প্রস্তাব দেন এবং বর ‘কবুল করলাম’ বলেন, তাহলে বিয়ে হয়ে যাবে। মুখে ‘কবুল’ বলাটাই বরের সিদ্ধান্ত ধর্তব্য হবে। মুখে কবুল বলার পর ‘অন্তরের অনিচ্ছা’ বা কোনো ধরনের ‘চাপ থাকা’র দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
বিয়েতে অনিচ্ছা থাকলে বিয়ের আকদের আগে বা আকদের সময়ই তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা জরুরি এবং বর ও কনের অভিভাবকদেরও উচিত নয় জোরপূর্বক বিয়ে করানো বা কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করা। কারণ বিয়ের পর সংসার মূলত বর-কনেকেই করতে হয়। অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিয়ে করলে তা পরবর্তীতে অনেক অশান্তির কারণ হতে পারে।
বরের কবুল বলা ছাড়া যেমন বিয়ে হয় না, মেয়ের সম্মতি ছাড়াও বিয়ে শুদ্ধ হয় না যা আমরা উপরে উল্লেখ করেছি। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,