কুমিল্লায়
অস্ত্রবাজদের চিহ্নিত করে খোঁজে খোঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে
বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার আসফিকুজ্জামান আক্তার। তিনি বলেছেন,
সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লায় যারা অস্ত্রবাজি করেছেন, তাদের ছবি, ভিডিও ফুটেজ
আছে। সেসব ছবি ও ফুটেজ দেখে সকল অস্ত্রবাজকে চিহ্নিত করা হবে। এরপর
তাদেরকে খোঁজে খোঁজে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা
লাগবে। বিশেষ করে মিডিয়া কর্মী যারা আছেন তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আপনারা
নিউজ করবেন পাশাপাশি আমাদের সাপোর্টিং হিসেবেও কাজ করবেন। আমি জানি
কুমিল্লার মানুষ অনেক আন্তরিক, কো-অপারেটিভ। এজন্যই আমি কুমিল্লাকে চয়েস
করেছি। আশা করি সকলের সহযোগিতা পাবো।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশ
সুপার বলেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে অফিস আদালতের অনেক ডকুমেন্টস্
আমাদের হাতে নেই। লজিস্টিক সাপোর্ট নেই। পুলিশ হেডকোর্য়াটারে আমাদের
আইসিটির কম্পিউটারের বিষয়ে কথা বলেছি। এগুলো আসার পরে আমরা ফোর্সে যাবো। যে
ক’দিন আমি এখানে দায়িত্বে থাকি সকলের সহযোগিতা নিয়ে কুমিল্লার অপরাধ
নিয়ন্ত্রণে কাজ করবো।
কুমিল্লার হোমনায় আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ট্রিপল
মার্ডারের ঘটনায় রহস্য উন্মোচন ও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত
প্রেস কনফারেন্সে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার মংনেথোয়াই মারমাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ
সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন,
সাম্প্রতিক ঘটনায় প্রথম দুয়েকদিন কুমিল্লার পুলিশ কিছুটা ট্রমার মধ্যে
ছিলো। তবে আমাদের পুলিশিং কার্যক্রম চলমান আছে। ইতোমধ্যে জেলা পুলিশের খোয়া
যাওয়া বেশিরভাগ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। খোয়া যাওয়া ৬৬টি অস্ত্রের মধ্যে
আরো ২১টি অস্ত্র উদ্ধারের বাকি আছে, সেগুলো উদ্ধারেও কাজ চলছে।