কুমিল্লার
হোমনায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরা ফেরার পথে নদী পার হতে গিয়ে নৌকা ডুবে দুই
ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার
চরলহনীয়া গ্রামের মো. গোলাম মোস্তফার মেয়ে সামিয়া আক্তার (১২) ও মো. মুসা
মিয়ার মেয়ে সামিয়া আক্তার (১৪)। তারা হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর কামাল
স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর)
বিকেলে স্কুল ছুটির পর উপজেলার কানাই শাহ্ ঘাট সংলগ্ন তিতাস নদী পার হতে
গিয়ে নৌকা ডুবে মারা যায় তারা।
তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত কওে হোমনা
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে
শুনেছি নৌকাটিতে ধারণক্ষমতার বেশি লোকজন ছিলো। যে কারণে পাশ দিয়ে একটি
ট্রলার যাবার কারণে ঢেউয়ের তোড়ে নৌকা ডুবে যায়।
স্থানীয়রা জানান,
প্রতিদিনের মত শিক্ষার্থীরা খেয়া নৌকায় নদী পার হয়ে স্কুলে আসে আবার স্কুল
ছুটির পর একইভাবে নদী পারি দিয়ে বাড়ি ফেরে। সোমবার বিকালে স্কুল ছুটি শেষে
২০-২৫ জন শিক্ষার্থীর সাথে খেয়ানৌকাযোগে নদী পার হয়ে বাড়ি ফিরছিলো
সামিয়ারাও। কিন্তু নদীর মাঝখানেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো.
মনির হোসেন জানান, ২০-২৫ জন ছাত্রীবোঝাই খেয়ানৌকাটি কানাই শাহ্ ঘাট থেকে
ছেড়ে নদীর মাঝামাঝি যেতেই পাশ দিয়ে একটি ইঞ্চিনচালিত ট্রলার দ্রুত গতিতে
যাচ্ছিল। ওই ট্রলারের সৃষ্ট ঢেউয়ে খেয়ানৌকাটি হেলে-দুলে একদিকে কাঁত হয়ে
ডুবে যায়। সঙ্গে সঙ্গে নৌকায় থাকা সব শিক্ষার্থী পানিতে পড়ে যায়। এর মধ্যে
তিন শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে তলিয়ে যায়। ডুবতে থাকা শিক্ষার্থীদের চিৎকার
শুনে ঘাটে থাকা স্থানীয় লোকজন ও সাঁতার জানা অন্য শিক্ষার্থীরা ডুবে যাওয়া
একজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করতে পারলেও বাকী দুজনকে উদ্ধার করা সম্ভব
হয়নি। স্থানীয় লোকজন নদীতে খোঁজাখুঁজি করে এক ঘণ্টা পর তলিয়ে যাওয়া সামিয়া
নামের দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
বাঞ্ছারামপুর
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন সাংবাদিকদেও বলেন,
খেয়ানৌকায় নদী পার হতে গিয়ে দুই জন শিক্ষার্থী তিতাস নদীতে ডুবে মারা
গেছেন। কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।