উয়েফা
নেশন্স লিগে ‘এ২’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী ফ্রান্সকে হারিয়ে শুভ
সূচনা করেছিল ইতালি। সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পরের ম্যাচে
নিরপেক্ষ ভেন্যু হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে ইসরায়েলকে ২-১ গোলে হারিয়ে আরও একটি
জয় তুলে নিয়েছে তারা। এই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এ২ গ্রুপের টেবিলের শীর্ষে
অবস্থান নিয়েছে আজ্জুরিরা।
শুক্রবার ফ্রান্সকে হারানো একাদশে কোচ
লুসিয়ানো স্পালেত্তি পাঁচ পরিবর্তন এনে ইসরায়েলের বিপক্ষে দল সাজান। তাদের
নিয়ে এই ম্যাচে গোল পেতে ৩৮ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় ব্লুজদের। এ সময়
ফেদেরিকো ডিমারকোর ক্রস থেকে বল পেয়ে গোল করেন দাভিদে ফ্রাত্তেসি।
প্রথমার্ধে এই একটি গোলই হয়।
বিরতির পর ৬২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান মইস
কিন। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে (৯০ মি.) একটি গোল শোধ দেয় ইসরায়েল। এ সময় ফ্রি
কিক পায় তারা। ফ্রি কিক থেকে আসা বলে হেড দিয়ে বাড়ান রাজ শোলমো। সেটা পেয়ে
ডান পায়ের শটে জালে জড়ান মোহামেদ আবু ফানি। শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের জয়
নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইতালি।
আগামী মাসে গ্রুপপর্বের তৃতীয় ম্যাচে বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে ইতালি। অন্যদিকে শক্তিশালী ফ্রান্সের বিপক্ষে লড়বে ইসরায়েল।
উয়েফা
নেশন্স লিগের এবারের আসরের প্রথম ম্যাচেই হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েছিল
ফ্রান্স। ‘এ২’ গ্রুপের সেই ম্যাচে ইতালি তাদের হারিয়ে দিয়েছিল ৩-১ গোলে।
তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ফরাসিরা। সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত
রাতে দ্বিতীয় ম্যাচে বেলজিয়ামকে হারিয়েছে ২-০ গোলে। এমন জয়ে গোল পেয়েছেন
রঁদাল কলো মুয়ানি ও ওসমানে দেম্বেলে।
ইতালির কাছে হেরে যাওয়া ম্যাচের
একাদশে আট পরিবর্তন এনে এদিন মাঠে নেমেছিল ফ্রান্স। শুরুর একাদশে রাখা হয়নি
কিলিয়ান এমবাপ্পেকেও। অবশ্য এদিন ২৯ মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। এ সময় উইলিয়াম
সালিবা ডি বক্সের বাইরে বল পেয়ে আলতো করে বাড়িয়ে দেন ডানদিকে থাকা ওসমানে
দেম্বেলেকে। তিনি বল পেয়েই ডান পায়ে জোরালো শট নেন গোলমুখে। সেটি হাত
বাড়িয়ে ফিরিয়ে দেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক কোয়েন কাস্তিলস। বল অবশ্য চলে যায়
সামনে থাকা মুয়ানির কাছে। তিনি বাম পায়ের ভলিতে জালে পাঠাতে ভুল করেননি
(১-০)।
বিরতির পর ৫৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়ে। এ সময় এন’গলো কান্তে ডি
বক্সের ডানদিকে বল বাড়িয়ে দেন দেম্বেলেকে। তিনি বল পেয়ে ঢুকে পড়েন ডি
বক্সের মধ্যে। এরপর দূরের পোস্টকে লক্ষ্য করে বাম পায়ের জোরালো শটে
লক্ষ্যভেদ করেন (২-০)। বাকি সময়ে অবশ্য আর কোনো গোল হয়নি।
পরের ম্যাচে আগামী মাসে টেবিলের তলানিতে থাকা ইসরায়েলের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। যারা দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই হেরেছে।