কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে ৮ যাত্রীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, র্যাবের সাবেক প্রধান বেনজির আহমেদসহ অন্তত ১৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন আইকন বাসের মালিক আবুল খায়ের। এতে ১৩০ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫নং আমলী আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার জন্য চৌদ্দগ্রাম থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু এ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে গভীর রাতে আইকন পরিবহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে ৮জন যাত্রী পুড়ে মারা যান। বাস মালিক আবুল খায়ের বলেন, চালক ও তার সহকারীর সাথে কথা বলে জানেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। এদিকে স্থানীয় এমপি রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বাস মালিককে ডেকে নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে বলেন। তিনি রাজী না হওয়ায় মুজিবুল তাকে থাপ্পড় মেরে বলেন-এই লাইনে কিভাবে বাস চালাস তা দেখে নেবো। পরে তার লিজ নেয়া ৫টি বাস তারা নিয়ে যান। বাস মালিক ১০ বছর পালিয়ে ছিলেন এবং তিনি দোষীদের বিচার চান বলে আদালতকে জানান।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক র্যাব প্রধান বেনজীর আহমেদ, কুমিল্লার সাবেক এসপি মো: আনোয়ার, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস ছোবহান ভূইয়া হাসান, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, চৌদ্দগ্রাম থানার সাবেক ওসি উত্তম চক্রবর্তী, সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার, সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেনসহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য- এই ঘটনার পর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছিল।
মামলার আসামীরা হলেন-
১। মুজিবুল হক মুজিব (৭২), (সাবেক রেলমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার)।কুমিল্লা -১১ সংসদীয় আসন ।
২। মিজানুর রহমান (সাবেক মেয়র) (৫৫), পিতামৃত: আব্দুর রশিদ, সাং: গোমারবাড়ি,
৩। আব্দুছ ছোবাহান ভূঁইয়া হাছান (৬০), পিতা: মৃত আব্দুল আজিজ, সাং: ফুলগ্রাম,
৪ । শাহজালাল মজুমদার (৫০), পিতামৃত: সুজাত আলী মজুমদার, চেয়ারম্যান,০৪নং শ্রীপুর ইউ/পি ।
৫। ভি.পি মাহবুব হোসেন (৫২), চেয়ারম্যান, পিতামৃত: নুর মিয়া মজুমদার, ০৩নং কালিকা বাজার ইউ/পি ।
৬। মোশারফ হোসেন (৪৫), চেয়ারম্যান, ০১নং কাশিনগর ইউ/পি ।
৭ । জাহিদ হোসেন (টিপু) (৫৫), পিতামৃত: হারুনুর রশিদ, সাবেক চেয়ারম্যান, বাতিশা ইউ/পি, সাং- বাতিশা।
৮। মোঃ জানে আলম চেয়ারম্যান (৫৫), জগন্নাথদিঘী ইউনিয়ন পরিষদ, থানা-১৪গ্রাম।
৯। ইসমাইল হোসেন বা”চু (৫০), সাবেক চেয়ারম্যান, আলকরা ইউ/পি ।
১০। সৈয়দ আহাম্মদ প্রকাশ খোকন (৪৮), সাবেক চেয়ারম্যান, গুনবতী ইউ/পি ।
১১ । সালা উদ্দিন আহমেদ (৫০), পিতামৃত: কোব্বাত আহম্মেদ, সাং- দুপুয়া।
১২। এনাম হোেসন পাটোয়ারী (৪৫), পিতামৃত: সাং- চান্দিশকরা।
১৩। কাজী জাফর আহাম্মদ (সাবেক চেয়ারম্যান) (৫৫), পিতামৃত: জানু মিয়া, সাং- ধনুসাড়া
১৪ । খোরশেদ আলম (৫২), পিতামৃত: আব্দুল খালেক, সাং- তুলাপুস্করনী, ০৬নং ঘোলপাশা ইউ/পি ।
১৫। তোফায়েল হোসেন (৫০), ( এম.পি'র ভাতিজা), পিতামৃত: আম্বর আলী, সাং-বসুয়ারা।
১৬। তৌফিকুল ইসলাম প্রকাশ সবুজ (৩০), পিতা-গোলাম মোহাম্মদ মজুমদার প্র: গোলবাহার, সাং- ধনিজকরা
১৭। মাহফুজ আলম (৪৮), পিতামৃত: আব্দুল মান্নান প্র: মানবী, সাং-বিষবাগ, ০৮নং মুন্সীরহাট ইউ/পি ।
১৮ । মাসুম বিল্লাহ (৩৮), পিতামৃত: আব্দুল মমিন, সাং-ধনুসাড়া ।
১৯। ছাদেকুর রহমান (৫২), পিতামৃত: বন্দে আলী, সাং- শ্রীবল্লভপুর,
২০। মেহেদী হাসান (৩৩), পিতা: খোকন মিয়া, সাং- শ্রীবল্লভপুর, সর্ব থানা, ১৪ গ্রাম।
২১। নাজমুল আলম রোমান(৫৯), পিতামৃত: আলী হোসেন, সাং- ঝাউতলা, খ্রীস্টান পাড়া, কুমিল্লা ।
২২। মোরশেদ আলম(৫৬), পিতামৃত: ডা: আব্দুল আউয়াল, সাং- নানুয়া দীঘির পাড়, বজ্রপুর,কুমিল্লা ।
২৩। জাকির হোসেন (৪০), পিং- আব্দুল মান্নান, সাং-নেউরা, সদর দক্ষিণ ।
২৪ । মহসিনুল হাসান প্র: হাসান (৫৭), পিতামৃত: আবুল কাশেম, সাং-ঢুলিপাড়া, সদর দক্ষিণ, কুমিল্লা ।
২৫ । রাশেদুজ্জামান প্রশ্ন রাশেদ (৩৪), পিতামৃত: আব্দুর রাজ্জাক, উভয় থানা- সদর দক্ষিণ ।
২৬। মো: মাসুদ (৫০), পিতা: মো: মোসলেম মিয়া : মোসলেম, সাং-মোকাম, হালসাং-হাউজিং এস্টেট, কুমিল্লা
২৭। আব্দুল ওয়াদুদ (৫৫),পিতামৃত: আলী আকবর,সাং- শিকারপুর, (৭নং মোকাম ইউ/পি), উভয় থানা- বুড়িচং।
২৮ । কাজী মো: শাহাদাৎ হোসেন (৪৩), পিতামৃত: কাজী সুলতান আহাম্মদ, সাং-মুড়াপাড়া (কাজী বাড়ী), পোঃ ২নং উত্তর দূর্গাপুর, উপজেলা: আদর্শ সদর, জিলা-কুমিল্লা ।
২৯। মো: আশিকুর রহমান (পাগলা আশিক) (৪৮), পিতামৃত: নুরুল ইসলাম পেশকার,
সাং- মুড়াপাড়া (পেশকার বাড়ী) পো: ২নং উত্তর দূর্গাপুর, উপজেলা: আদর্শ সদর, জিলা: কুমিল্লা।
৩০ । এ. কে. এম শহীদুল হক সাবেক আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ ।
৩১। বেনজির আহমেদ, সাবেক আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ ও সাবেক মহাপরিচালক, র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
৩২। মো: আনোয়ার, পুলিশ সুপার, কুমিল্লা জেলা পুলিশ ।
৩৩। উত্তম কুমার চক্রবত্তী, লিপি নং- ৬৩৮৯০৫৬৮৯৪। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
৩৪। মো: নুরুজ্জামান, সাব-ইন্সপেক্টর, চৌদ্দগ্রাম থানা, কুমিল্লা ।
৩৫। মো: ইব্রাহীম, সাব- ইন্সপেক্টর, (তদন্তকারী কর্মকর্তা), চৌদ্দগ্রাম থানা, কুমিল্লা ।
৩৬। মো: নাজমুল হক, সাব-ইন্সপেক্টর, ( সিএস তদন্তকারী কর্মকর্তা), জেলা পুলিশ, কুমিল্লা ।
৩৭। মো: ফিরোজ কবির, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), সিএস তদন্তকারী কর্মকর্তা, গুলশান থানা,ডিএমপি, ঢাকা।
৩৮ । কিশোর বড়ুয়া, (এ.এস.আই), কোতয়ালী থানা, কুমিল্লা ।
৩৯ । মহসিন তালুকদার, এ.এস.আই ( সিএস তদন্তকারী কর্মকর্তা),বরুড়া থানা, কুমিল্লা ।
৪০। মো: আলমগীর হোসেন (লুঙ্গি আলম) (৫৫), পিতামৃত-কালা মিয়া,সাং+পো:-পাশা কোট
৪১। সহিদুর রহমান, ( সিএস তদন্তকারী কর্মকর্তা), সদর দক্ষিণ থানা, কুমিল্লা ।
৪২। কং নং ১০৫৮ গিয়াস উদ্দিন,
৪৩। কং নং ৯৩৯ সাইফুর রহমান,
৪৪ । কং ১৭৭৩ নাজমুল ইসলাম,
৪৫। কং ১৭৮৪ জসিম উদ্দিন, সর্ব এস.এ.এফ কনস্টেবল, চৌদ্দগ্রাম থানা,কুমিল্লা ।
৪৬। কং ৭৮৭ আব্দুর ওহাব, হারাবাং পুলিশ ফাঁড়ি, চকোরিয়া, কক্সবাজার ।
৪৭। কং ২৪৫ মো: জাফর ইকবাল, গোসাইর হাট থানা, শরীয়তপুর।
৪৮ । মো: মজিবর রহমান, সাবেক পি.পি.কুমিল্লা (৭০), পিতামৃত: মৌলভী মোহাব্বত আলী, সাং পীরযাত্রাপুর, থানা: বুড়িচং, জেলা: কুমিল্লা। বর্তমান ঠিকানা: হোল্ডিং নং-২০৩, (৩য় তলা), উকিলপাড়া, ছোটরা, কুমিল্লা।
৪৯ । আব্দুল কাদের জিলানী (৩৮), পিতামৃত: ছিদ্দিকুর রহমান মাস্টার, সাং: মোকাম, থানা: বুড়িচং, কুমিল্লা, হালে ঝাউতলা, কুমিল্লা ।
৫০। শামসুল আলম (৫৫), পিতামৃত: আমির হোসেন, উভয় সাং- পহরচাঁদা, গোবিন্দ্রপুর (দ:পাড়া), ভহরতলী, ০৯নং ওয়ার্ড, থানা-চকোরিয়া, জিলা-কক্সবাজার, হালে- বাগিচা গাঁও, কুমিল্লা ।
৫১। মো: জাকির হোসেন (৪৫), পিতামৃত: সাহাবুদ্দিন, সাং: লক্ষীপুর,
৫২। মোঃ মির হোসেন মিরু (৫৫), পিতামৃত: বড় মিয়া মেম্বার, সাং: বৈদৈর খিল, পো: চৌদ্দগ্রাম, থানা: চৌদ্দগ্রাম, জিলাঃ কুমিল্লা।
৫৩। মো: আবুল বাশার (৩২), পিতাঃ মো: আনোয়ার হোসেন, সাং-দক্ষিণ প্রতাপপুর, ১৪ গ্রাম, কুমিল্লা ।
৫৪ । মাহাবুবুল হক(৫০), পিতা: মো: সলিম উদ্দিন, সাং- জগমোহনপুর, ডাকঘর: মিয়া বাজার, ১৪ গ্রাম, কুমিল্লা ।
৫৫ । আলী হোসেন (৪৮), পিং-লুৎফুর রহমান খাঁন, সাং-দক্ষিণ গজারিয়া, ডাকঘর: বড় কালিনগর, থানা:গোসাইর হাট, জেলা: শরীয়তপুর। হালে- হাউজিং এস্টেট, কুমিল্লা ।
৫৬। জসিম উদ্দিন সর্দার (৫৫), পিতামৃত: আব্দুছ ছোবাহান, সাং: পূর্ব কাশিমপুর, পো: মিয়াবাজার,
৫৭। সিরাজুল ইসলাম(৪৭), পিতা: নুরুজ্জামান, সাং: মানিকপুর,
৫৮ । মো: সহিদুল ইসলাম রতন(৪৭), পিতামৃত: ছায়েদুর রহমান, সাং: শীতলিয়া,
৫৯ । মিয়া নিজাম (৫৫), পিতা: পিতামৃত: মমতাজ উদ্দিন, সাং: বেলঘর,
৬০ । মিঞা নাছির (৬৫), পিতা: সামছুল আহাম্মদ, সাং: বেলঘর,
৬১ । জয়নাল আবেদিন (৬০), পিতা: আকমত আলী, সাং: মানিকপুর,
৬২। লোকমান হোসেন করেল(৩৫), পিতামৃত: রঞ্জন আলী, সাং- ভাইজকরা চৌহমুনী বাজার,
৬৩। আবুল কালাম(৩২), পিতা: মুক্তল হোসেন, সাং: কুমার ডোগা,
৬৪ । মীর দুলাল (৬০), পিতামৃত: ডা: আ: রহমান, সাং: কুমার ডোগা,
৬৫ । সিরাজুল ইসলাম(৬১), পিতামৃত: রৌশন আলী, সাং: জগমোহনপুর,
৬৬। আ: রাজ্জাক (৪০), পিতামৃত: ইয়াকুব আলী, সাং: দক্ষিণ প্রতাপপুর,
৬৭। সোলায়মান(৩৫), পিতামৃত: অলি উল্লাহ, সাং: বাড়িয়া,
৬৮ । রফিক (৪৫), পিতা: আ: মান্নান, সাং: কাশিনগর,
৬৯ । আনোয়ার হোসেন (৪৫), পিতা: আবুল কালাম, সাং: যশপুর,
৭০। বদিউল আলম (৫০), পিতা: ছিদ্দিকুর রহমান, সাং: গজারিয়া,
৭১ । হাসান মিয়া (৩২), পিতামৃত: রফিকুল ইসলাম, সাং-জগমোহনপুর,
৭২। মতিউর রহমান জালাল (৩৫), পিতামৃত: ছিদ্দিকুর রহমান, সাং: কুমারডোগা,
৭৩। মো: আবু তাহের (৫৫), পিতামৃত: আ: আজিজ, সাং: কুমারডোগা
৭৪ । আলী হোসেন (৪৫), পিতা: আইয়ুব আলী, সাং: জামির কোড সামুক
৭৫ । ইমাম হোসেন (৪৫), পিতামৃত: আছান মিয়া, সাং: জামির কোড সামুর
৭৬। সুমন মিয়া (৩২), পিতা: সেলিম মিয়া, সাং: জামির কোড সামুকসার,
৭৭। আজাদ মিয়া (৪৭), পিতামৃত: ফজলুল হক মেম্বার, সাং: শীতলিয়া,
৭৮। ফরিদ মিয়া (৪৭), পিতামৃতঃ পুৎফুর রহমান, সাং: শীতলিয়া,
৭৯। রুমি মজুমদার (৩৫), পিতা: ছালাউদ্দিন, সাং: কালিকাপু,
৮০। লিটন মেম্বার (৪৫), পিতামৃত: তফাজ্জল ক্যাশিয়ার, সাং: জামমুড়া,
৮১। সোহেল মেম্বার (৪৪), পিতা: দেলোয়ার মেম্বার, সাং: উত্তর কৈইয়া,
৮২। কবির হোসেন খান(৪৫), পিতামৃত: ছন্দু মিয়া, সাং: আব্দুল্লাহপুর,
৮৩। কাস্টম হারুন(৬০), পিতামৃত: আলী আহাম্মদ, সাং: আশ্রাফপুর,
৮৪ । মফিজুর রহমান (৫০), পিতামৃত: মোখলেছ মৌলভী, সাং: বেলঘর ।
৮৫। আবুল মিয়া(৪৭), পিতামৃত: বেতা মিয়া, সাং: শুয়ারখিল,
৮৬। ফজলুল হক(৫০), পিতা: চানু মিয়া, সাং: রাজেন্দ্রপুর, পো: চক লক্ষীপুর,
৮৭। শ্বেত শাহা আলম (৪৫),পিতামৃত: কালা মিয়া, সাং: উত্তর প্রতাপপুর,
৮৮। নাইমুর রহমান মাসুম (৪৭), পিতামৃত: মোখলেছ মৌলভী, সাং: ঘাসিগ্রাম,
৮৯। রনি (৪০), পিতা: আবুল কাশেম, সাং: বেলঘর,
৯০। নিয়াজ মিয়া (৩৫), পিতা: মিঞা নিজাম, সাং: বেলঘর,
৯১ । মাসুদ রানা (৩৫), পিতামৃত: লাতু মিয়া, সাং: আশ্রাফপুর,
৯২। মীর আজিজ (৩৫), পিতা: মীর মুন্সি, সাং: ঘাসিগ্রাম,
৯৩। সুরুজ মিয়া (কানা সুরুজ) (৫০), পিতামৃত: হাজী রঞ্জন আলী, সাং: রাজেন্দ্রপুর,
১৯৪ । আদেল (৩৫), পিতামৃত: ছায়েদুর রহমান, সাং: শীতলিয়া,
৯৫ । শাখাওয়াত হোসেন (৩৫), পিতা: ফরিদ মিয়া, সাং: উত্তর কৈইয়া,
৯৬। আকতার মেম্বার (৫৫), পিতামৃত: চান মিয়া, সাং: ঘাসিগ্রাম, পো: মিয়া বাজার,
৯৭। আলমগীর হোসেন (৫২), পিতামৃত: আ: মান্নান মাস্টার, সাং: চান্দুল,
৯৮। মোসলেম মিয়া (৫২), পিতামৃত: মৌলভী আব্দুল আজিজ, সাং: চান্দুল, পো: মিয়া বাজার,
৯৯। আব্দুল করিম (৪৫), পিতামৃত: লুৎফুর রহমান, সাং: ভাটবাড়ি,
১০০ । রহমত উল্লাহ বাবুল (৪৮), পিতামৃত: উবায়দুল্লাহ, সাং- দক্ষিণ প্রতাপপুর,
১০১। আব্দুর রশিদ (৫২), পিতামৃত: আলী আহাম্মদ, সাং: মানিকপুর, পো: মিয়া বাজার,
১০২। রুহুলামিন মাস্টার(৫২), পিতামৃতঃ চেরাগ আলী, সাং: মানিকপুর,
১০৩। মোশারফ হোসেন (৪৫), পিতামৃত: অলি উল্লাহ, সাং- বারৈয়া,
১০৪। সাদেক মিয়া (৫০), পিতামৃত: সুরুজ মিয়া, সাং-জগমোহনপুর,
১২৩। এবাদুল হক এবা (৪৫), পিতামৃত: আবদুল গফুর, ¯’ায়ী ঠিকানা: সাং- বিচুন্দাইর, (করিয়ার পাড়), পোঃ ১১ নং দোল্লাই নবাবপুর, থানা: চান্দিনা, বর্তমান ঠিকানা: ধানমন্ডি রোড, রেইসকোর্স, কুমিল্লা ।
১২৪। মো: জাকির হোসেন (৪৫), পিতামৃত: সুরুজ মিয়া, সাং-শিমরাইল, থানা-কসবা, জিলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হালে- মিয়াবাজার, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জিলা-কুমিল্লা ।
১২৫ । জানু মিয়া (৪২), পিতামৃত: আনু মিয়া, সাং- শিমরাইল, থানা-কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। হালে- ধানমন্ডি রোড, রেইসকোর্স, কুমিল্লা ।
১২৬। সিরাজুল ইসলাম(৫৬), পিতামৃত: দুদ মিয়া, সাং- ভাউচাইল, ১০নং গল্লাই ইউনিয়ন,থানা- চান্দিনা,জেলা- কুমিল্লা, হালে-চৌদ্দগ্রাম,জিলা-কুমিল্লা ।
১২৭। গোলাম সরোয়ার(৫৬), পিতা: আব্দুল জলিল মাস্টার, সাং- মনোহরপুর( মুন্নারপুর মুন্সিবাড়ি), বরুড়া, হালে টমছমব্রীজ, কুমিল্লা ।.
১২৮ । মো: জহির (৪৫), পিতামৃত: কালা মিয়া, সাং-পিপুলিয়া, পো: পিপুলিয়া বাজার, থানা-সদর
দক্ষিণ, কুমিল্লা।
১২৯। খলিলুর রহমান চেয়ারম্যান (৬০), ০৫নং শুভপুর ইউনিয়ন পরিষদ, থানা-১৪গ্রাম।
১৩০ । মো: জহিরুল ইসলাম সেলিম (৫৪), পিতামৃত: ফজলুল হক, সাং: শাহদিলের বাগ, থানা: বুড়িচং: জিলা- কুমিল্লা, হালে-হাউজিং এস্টেট। সহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন ।
মামলার বিবরণ:
বাদীর তত্ত্বাবধানে আইকন পরিবহনের বাস, যাহার নং- ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪০৮০, বাসটি ঢাকা হইতে কক্সবাজার যায় এবং ফেরার পথে ঘটনার সময় ও স্থানে পৌঁছিলে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী উল্লেখিত বাসে আগুন লাগাইয়া দিলে কতেক যাত্রী আহত ও নিহত হয় এবং বাসটি মারাত্মকভাবে পুড়িয়া যায় ।
বাদী ঘটনার পর স্থানীয় লোক এবং মিডিয়া মারফতে সংবাদ পাইয়া সকাল অনুমান ৬:০০ ঘটিকার সময় দ্রুত ঘটনাস্থলে যাইয়া তাহার গাড়িখানা অগ্নিদগ্ধ হইয়া পুড়িয়া গিয়াছে দেখিতে পায় । তৎপর স্থানীয় সংসদ সদস্য ১নং আসামী মুজিবুল হক মুজিব (৭২) (সাবেক রেলমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার), ২নং আসামী মিজারনুর রহমানসহ কতেক আসামীগনের মাধ্যমে বাদীকে সংবাদ দিয়া চৌদ্দগ্রাম বাজারে ১নং আসামীর দলীয় কার্যালয়ে ডাকিয়া নিয়া বাস পোড়ানোর ঘটনায় বি এন পি-জামায়াতের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে হত্যা এবং নাশকতার মামলা দায়ের করিতে বলে। বাদী ঘটনা দেখে নাই এবং মামলা করিতে পরিবে না বলায় উক্ত সময়ে ১নং আসামী উপস্থিত নেতা কর্মীগণ বাদীকে হুমকী-ধমকি প্রদান করে এবং এক পর্যায়ে ১নং আসামী ক্ষিপ্ত হইয়া বাদীকে থাপ্পর দিয়া বলে তুই এই লাইনে কিভাবে বাসের ব্যবসা করস আমি দেখিয়া নিব। বাদী সেখান থেকে বাহির হইয়া ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়া বাদীর পুড়িয়া যাওয়া বাসের ড্রাইভার, হেলপারসহ স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে উল্লেখিত আসামীগণ অজ্ঞাতনামা আসামী আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মী এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে বাদীর উল্লেখিত বাসটি পোড়াইয়াছে মর্মে জানিতে পারে।
ঘটনার পর স্থানীয় এম পি ১নং আসামী তাহার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা কোম্পানী হইতে লীজ গ্রহন করা বাদীর ০৫টি বাস। বাস ও জোর পূর্বক নিয়া যায়।
বাদী এই বিষয়ে চৌদ্দগ্রামের তৎকালীন ও.সি, কুমিল্লার তৎকালীন এস পি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়সহ প্রশাসনের বিভিন্ন লেভেলে জানাইয়া, জানাইয়া ও কোথাও কোন প্রতিকার পায় নাই, তদুপরি ১নং আসামী ও তাহার সন্ত্রাসী বাহিনী হইতে জীবন রক্ষার্থে এলাকা হইতে সরিয়া যায় । বর্তমানে দেশের পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ায় এবং স্থানীয় এম.পি দেশ ছাড়িয়া পালাইয়া যাওয়ায় অত্র মোকদ্দমা দায়েরের সুযোগ পাইয়াছে। দীর্ঘ সময় যাবত বাদী স্থানীয় লোকজন এবং ঘটনার ২৫৩৯ এলাকার স্বাক্ষীগণকে জিজ্ঞাসাবাদে জানিতে পারিয়াছে যে, ১নং আসামীর কুপরামর্শে তৎকালীন পুলিশের সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, তৎকালীন র্যাব ফোর্সের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, সাবেক আইজিপি আসামীগণ পুলিশ প্রশাসনের অপরাপর কর্মকর্তা আসামীগণের প্রত্যক্ষ মদদে ইতিপূর্বে তৎকালীন বিরোধী শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা ভাবে জড়াইয়া হয়রানি করার উদ্দেশ্যে একটি মামলা দায়ের করেন। সরকারী চাকুরী তথা গুরুত্বপূর্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকিবার পর ও কতিপয় আসামীগণ জানিয়া শুনিয়া বেআইনী কর্মকান্ড তথা ফৌজদারী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকিয়া গুরুতর অপরাধ সংগঠিত করিয়াছে। স্বাক্ষীগণ ঘটনা দেখিয়াছে, শুনিয়াছে এবং ঘটনা প্রমাণ করিবে।
তৎকালীন সময়ে কতেক আসামী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিল বিধায় এবং কতেক আসামী সরকার দলীয় এম.পি ও তাহার দলীয় সন্ত্রাসী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মী হওয়ায় বাদী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কারণে মামলা দায়ের করিতে পারেন নাই ১ বর্তমানে ও থানায় মামলা দায়ের করিতে ব্যর্থ হইয়া বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করিতে বিলম্ভ হইল ।