কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
গোমতী ও সালদা নদীর বাধ ভেঙ্গে বন্যায় প্লাবিত হয়ে ডুবে গেছে গো-চারণ ভূমি। দেখা দিয়েছে কাঁচা ঘাসের অভাব। গো-চারণ ভূমি ও ফসলী জমি, রাস্তা ঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কাঁচা ঘাস পঁচে গেছে।
ফলে গবাদিপশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের গচ্ছিত খড়। এতে এলাকার কয়েক হাজার গবাদিপশুর খাদ্যাভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছোট বড় প্রায় শতাধিক গো-খামার। চরম বিপাকে পড়েছেন বন্যাকবলিত খামারিরা।
মঙ্গলবার উপজেলার চান্দলা, বড়ধুশিয়া, ধান্যদৌল, নাইঘর, নাগাইশ, কালামুড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে এই পরিস্থিতি দেখা যায়।
উপজেলার ধান্যদৌল গ্রামের আশিকুর রহমান জানান, ১০ টি গরু ও ২ টি মহিষের খাবার নিয়ে বিপাকে পড়েছি। বন্যায় তৃণভূমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কাঁচা ঘাস পাওয়া যায় না। কাঁচা ঘাস না পাওয়ায় খাল-বিল, ডোবা-নালা থেকে কচুরিপানা কেটে গবাদি পশুকে খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছি।
চান্দলা এলাকার গরু খামারী মানিক মিয়া জানান,এ মৌসুমে আউশ ধান বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ায়
গরুর খাদ্য খড় নিয়ে আরও সংকটে পরতে হবে। এছাড়া বাজারে খইল-ভুষির দাম অধিক। ফলে গরুর দুধ ও মাংস উৎপাদনে খরচ অনেক বেশি পরবে।
সিদলাই ইউনিয়নের পোমকাড়া গ্রামের গৃহস্থ মনির হোসেন বলেন,একটি গাভী একটি ষাঁড় ও দুটি ছাগল পালন করছি। আমার গরুর ঘরে পানি উঠে যায়।গরু ছাগল নিয়ে চরম বিপাকে ছিলাম ৭ দিন ধরে। বর্তমানে কোথাও গো খাদ্য নেই। খইল,ভুষি কিনে আমাদের মত গৃহস্থ সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ ইজমাল হাসান জানান, বন্যার কারণে গো-খাদ্যর সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা খামারিদের পরামর্শ দিচ্ছি দ্রুত গো-খাদ্য উৎপাদন করা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত গরু খামারীদের আমরা তালিকা করছি। তালিকা অনুযায়ী উপজেলা পিআইও অফিসের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের গো-খাদ্য সহায়তা ও প্রণোদনা দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।