কুমিল্লা
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চুরি ছিনতাই বেড়েছে। জনতার হাতে এরই মধ্যে কিছু চুর
ও ছিনতাইকারী আটকও হয়েছে। তবে চুর ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর বা শক্ত
আইন না থাকায় চুর ও ছিনতাইকারী আটক হলেও আইনের ফাঁক-ফোকড় দিয়ে সহজে জেল
থেকে বের হয়ে যায়। জেল থেকে বের হয়ে আবার তারা একই কাজে নামে। ফলে চুরি
ছিনতাইয়ের ঘটনায় চুর ও ছিনতাইকারী আটক হলেও তাদের লাগাম টেনে রাখা
যাচ্ছেনা।
গতকাল সন্ধ্যায় কুমিল্লা মহানগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্তর
এলাকায় চুরির ঘটনায় সজল নামে একজনকে আটক করে দুই শিক্ষার্থী। আটক সজল জেলার
আদর্শ সদর উপজেলার ২য় মুরাদপুর এলাকার মুছা মিয়া ও লিলি বেগমের পুত্র। আটক
হওয়া সজলের নিকট থেকে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে, সজল কুমিল্লা শহরের
বিভিন্ন স্থান থেকে সাধারণ মানুষের বিশেষ করে মহিলাদের মোবাইল,
ভ্যান্টিব্যাগ থেকে টাকা চুরি ও ছিনতাই করে । ইবনে তাইমিয়া কলেজের দুই
শিক্ষার্থী জানান, আমরা কান্দিরপাড় থেকে টমছন ব্রিজ যাওয়ার সময় দেখতে পাই
এক মহিলার টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তাকে তারা আটক করলে সে
শিক্ষার্থীদের ছুরি দিয়ে আক্রমন করার চেষ্টা করে। এ সময় বড় ধরনের ক্ষতি
করার হুমকিও দেয়। এ সময় উপস্থিত স্থানীয়রা জানান, সজল কান্দিরপাড় এলাকায়
একাধিকবার এই চুরি ছিনতাই করে ধরা পরেছে। তাকে পুলিশে দেওয়া হলে জেল খেটে
পুনরায় এসে আবার চুরি ছিনতাই করে। এই সজলের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা
না নিলে বাকী ছিনতাইকারীরা প্রতিনিয়ত এই চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় উৎসাহ
পাবে। শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে মেরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।