নির্ধারিত সময় অনুসারে আগামী ২৬ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচন। সেই নির্বাচন নিয়ে মাস দু’য়েক আগে থেকেই আলোচনা চলছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সেই আলোচনার সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রতিবাদ ও আন্দোলন। সামগ্রিক পরিস্থিতি ফিফা-এএফসিকে ২৯ আগস্ট জানিয়েছিল বাফুফে। বাফুফের চিঠির প্রেক্ষিতে গত পরশু ফিফা ও এএফসি একটি যৌথ চিঠি দিয়েছে।
ফিফার পক্ষে চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন চিফ মেম্বার এসোসিয়েশন অফিসার কেন্নি জিয়ান মেরি আর এএফসির পক্ষে ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি মেম্বার এসোসিয়েশন ভাহিদ কারদানে।
১২ সেপ্টেম্বর ফিফা-এএফসির যৌথ চিঠিতে ২৬ অক্টোবর বাফুফের নির্ধারিত দিনেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি জোরদার করা হয়। বাফুফের গঠনতন্ত্রের নির্বাচন বিধি অনুযায়ী এই নির্বাচন পরিচালনা হবে। সেটা অনুসরণ করতে হবে বাফুফের সকল অংশীদারকে। ২০২০ সালের ৩ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচনে নির্বাচিত নির্বাহী কমিটি ফিফার গঠনতন্ত্র মোতাবেক ৪ বছর কমিটিতে থাকতে পারবে সেটাও চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে।
ফিফা ও এএফসি যৌথভাবে বাফুফের নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাফুফের নির্বাচন সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড স্বাধীনভাবে পরিচালনার পক্ষে মত দিয়েছে বিশ্ব ও এশিয়ান ফুটবলের শীর্ষ সংগঠন। পাশাপাশি তৃতীয় পক্ষের কোনো হস্তক্ষেপ তারা কামনা করে না বলেও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আজ (শনিবার) আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা নিয়েছেন। সাবেক ফুটবলার, সমর্থক ও জাতীয়বাদী ক্রীড়া ফোরাম থেকে তার পদত্যাগের জোরালো দাবি ছিল। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ যেন না করেন সেই ঘোষণা দেওয়ারও একটা চাপ ছিল। আকস্মিকভাবে কাজী সালাউদ্দিন সেই ঘোষণা দিয়েছেন আজ। এই ঘোষণা দেওয়ার পরপরই বাফুফে সাংবাদিকদের সামনে ফিফার চিঠি তুলে ধরেন। সাধারণত ফিফা-এএফসির কাগজপত্র নির্বাহী কমিটির অনেকেই দেখতে পায় না, সেখানে এই চিঠি সরবরাহ করার অর্থ খানিকটা ভিন্নই!