কুমিল্লার
দেবিদ্বারে বৈদ্যুতিক শর্টশার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডে ৩টি দোকান পুড়ে ছাই
হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে
জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফতেহাবাদ ইউনিয়নের
এগারো গ্রাম বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনার পর বুধবার
সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী
সাইফুল ইসলাম শহীদ। এসময় তিনি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের
সহযোগিতার করার আহবান জানান।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রথমে সেলিম
মেডিকেল হল থেকে বৈদ্যুতিক শর্টশার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে একটি
সারের দোকান, একটি কনফেকশনারী ও একটি ফার্মেসী পুড়ে যায়। এতে আনুমানিক ৪০
লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ সার দোকান মালিক আবুল হাশেম
জানান, আমার দোকানে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ বস্তা বিভিন্ন প্রজাতের সার রয়েছে।
যার আনুমানিক মূল্য ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা হবে। আগুনে সারের সব গুলো বস্তা
পুড়ে যায়। এছাড়াও দোকানে বিভিন্ন বালাই ও কিটনাশক ওষুধ রয়েছে সেগুলোও পুড়ে
ছাই হয়ে গেছে। কোন কিছু বের করা সম্ভব হয়নি।
সেলিম মেডিকেল হলের
মালিক মো. সেলিম জানান, বাজারের সবচেয়ে বড় ফার্মেসী আমার ছিল। সেখানে প্রায়
১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার ওষুধ ছিল। প্রথম আমার দোকান থেকে বৈদুতিক সটশার্কিট
থেকে আগুন লাগে। পরে দ্রুত অন্য দোকানগুলো পুড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা
এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি
ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। কিন্তু ততক্ষনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে।
এগারোগ্রাম
বাজারের পাহারাদার প্রত্যক্ষদর্শী মো. হাসান মিয়া বলেন, রাত ১টার দিকে
বাজারের একটি ফার্মেসীর ভিতর থেকে বিকট শব্দ হয়। পরে কাছে এসে দেখি ভিতর
থেকে গরম তাপ বের হচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন বলে
চিৎকার দিলে বাড়িঘর থেকে লোকজন এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করেন।
মুরাদনগর
ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর মো. আমজাদ হোসেন বলেন, বৈদ্যুতিক শটশার্কিট
থেকে আগুনের সুত্রাপাত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা
হয়। এতে একটি সারের দোকানসহ তিনটি দোকান পুড়ে যায়।