কুমিল্লার বরুড়ায় পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে অন্তত ১৫ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তা মুহিবুর আলম খান। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত মোট ১৫ জন পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩ জন কে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। তাদের অনেকেই স্কুলগামী শিশু। বরুড়া উপজেলার শাকপুর ও ঝলম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা আক্রান্ত হয়ে এসেছে। তাদের মধ্যে কুকুর কারো কারো শরীর থেকে মাংস পর্যন্ত তুলে নিয়েছে। আহতদের জলাতঙ্কের টিকা এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাকপুর ও ঝুলন ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে কয়েকটি পাগলা কুকুরের হিংস্রতা দিয়েছে। সকাল থেকেই এসব কুকুর বেশ কয়েকজনকে কামড় ও আঁচড় দিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, কুকুরগুলো রেবিস ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এমন হিংস্র আচরণ করছে।
চিকিৎসকরা জানান, পাগলা কুকুরে কামড়ালে অবশ্যই নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা নিতে হবে। প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন বা ওষুদ না নিলে বিপজ্জনক শারীরিক অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেবে।
বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুএমং মারমা মং জানান, খবর পেয়ে আমি সাথে সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাথে কথা বলেছি। পাগলা কুকুরগুলোকে আটকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।