কুমিল্লার
বরুড়া উপজেলায় পাগলা কুকুরের কামড়ে ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর
মধ্যে ১৩ জনকে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে
নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩ জনকে
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, গতকাল ৩
অক্টোবর সকালে ঝলম, আড্ডা শাকপুর ইউনিয়নের পাশাপাশি কয়েক গ্রামে পাগলা
কুকুর ১৫ জন কে কামড় দেয়।প্রথমে শাকপুর ইউনিয়নের কাছিয়াপুকুরিয়া গ্রামের
আবদুর রশিদ (৭৫) কে হাতে ও শরীরে একাধিক জায়গায় কামড় দেয়। পরে একই গ্রামের
স্কুল শিক্ষার্থী রিসান ( ১০) তাকে কামড় দেয়। সাধারণ জনতা কুকুর কে লাঠি
নিয়ে তাড়িয়ে দিলে পাশের গ্রাম আড্ডা ইউনিয়নের খাটলা গ্রামের ফাতেমা (২৩)
নামের এক গৃহিণী কে কামড় দেয়। একই ইউনিয়ন অশ্বদিয়া গ্রামের পথচারী জুনায়েদ
(৫০) কে কামড় দেয়।)পর্যায় ক্রমে ঝলম ইউনিয়নের শশাইয়া গ্রামের স্কুল
শিক্ষার্থী মোহনা (১০) ফরিদপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষার্থী জাহেদ হোসেন (১১)
শাকপুর গ্রামের গৃহিণী হোসনেয়ারা বেগম (৩০) স্কুল শিক্ষার্থী আবু ইউসুফ (
৭) জাকারিয়া (১২) সাব্বির ( ১১) জান্নাত (১৪) কে কামড় দেয়।
এ ছাড়া ও আরো ৩ জন পথচারী কে পাগলা কুকুরে কামড় দেয় বলে স্থানীয়রা জানান।
একই
দিনে ১৫ জন কে পাগলা কুকুর কামড় দেয়ায় ভেকসিনের সঙ্কট পড়েছে বরুড়া
উপজেলায়। এ বিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মহিবুস
ছালাম খান বলেন, কুকুর কয়টি জানা নেই। ১৩ জন কে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি।
মারাত্মক আহত ৩ জন কে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য
পাঠিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং এ বিষয় বলেন, তিন
চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়েছি কুকুর টিকে চিহ্নিত করার জন্য। কোমলমতি
শিক্ষার্থীদের কে অভিভাবক যেনো সাথে করে বিদ্যালয় নিয়ে যায় সেই বিষয়
সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য বলেছি।