কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রতিষ্ঠার ২০ বছরে মিললো নিজস্ব পোস্টাল কোড।গত ২৪অক্টোবর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক (মেইলস)মো.জাকির হাসান নুর স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পোস্টাল কোডটির অনুমোদন দেওয়া হয়। যার
স্মারক নম্বর ১৪.৩১.০০০০.০৩৯.২২.০৩১.২১.১৭৮ এবং মনোহরগন্জ উপজেলা পোস্ট কোড নম্বর ৩৫৯০।গতকাল শনিবার প্রজ্ঞাপনটি ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট সকল অধিদপ্তর,দপ্তর, আইসিটি কে অবহিত করে।এর মাধ্যমে মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলাবাসী সকল ক্ষেত্রে এই পোস্ট কোড ৩৫৯০ ব্যবহার করতে হবে।
স্থানীয়রা জানান, ২০০৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জেলার লাকসাম উপজেলা থেকে ১১টি ইউনিয়ন কর্তন করে মনোহরগঞ্জ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করে। উপজেলাটির মধ্যে ১৬টি পোস্ট অফিস রয়েছে। বিকেন্দ্রিকরণের নামে উপজেলা সদরের মনোহরগঞ্জ বাজার, নরহরিপুর বাজার, হাসনাবাদ বাজার, বাইশগাঁও বাজার, দাদঘর বাজার, নোয়াগাঁও, পোমগাঁও বাজার, কাশিপুর বাজার ও আমতলী বাজার নামে এ ৯টি পোস্ট অফিস গত ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তির চিতোষী সাব-পোস্ট অফিসের অধীনে রয়েছে। যার পোস্ট কোড নং- ৩৬২৩।
অন্যদিকে, উপজেলার লাল চাঁদপুর, ইকবালনগর, লক্ষণপুর বাজার, নাথেরপেটুয়া বাজার, বিপুলাসার বাজার ও ভোগই নামে ৭টি পোস্ট অফিস লাকসাম উপজেলার অধীনে রয়েছে। যার পোস্ট কোড নং- ৩৫৭০।
এতে উপজেলার ১৬টি পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চাঁদপুর জেলা ও লাকসাম ডাক বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকায় মনোহরগঞ্জ উপজেলার জরুরী চিঠিপত্র, ব্যাংক ড্রাফটসহ সরকারি-বেসরকারি ডাকবিলি-বণ্টনে গ্রাহকের কাছে পৌঁছতে ৭/১০ দিন পর্যন্ত বেশি সময় লাগতো। আবার অনেক চাকুরি প্রার্থীর প্রবেশপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পৌঁছে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ২/৩ দিন পর। ১৬টি পোস্ট অফিসে পোস্টাল কার্যক্রম মারাত্মক সমস্যার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হতো।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা পোস্ট মাস্টার জানান- একটি উপজেলার পোস্ট অফিসে ১ জন পোস্ট মাস্টার, ২ জন পোস্টম্যান, ২ জন রানার, ১ জন পেকার, ১ জন কেরানি, ১ জন ঝাড়ুদার ও ১ জন নৈশপ্রহরী থাকার কথা। কিন্তু এ উপজেলা ডাক বিভাগ একটি ভবন করলেও এখনও কোন লোকবল নিয়োগ দেয়নি। যার ফলে আমাদেরকে জোড়াতালি দিয়ে কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা জেলা ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল বলেন-নিজস্ব পোস্ট কোড না থাকায় দীর্ঘ ২০বছর চাঁদপুর জেলার চিতোষী পোস্ট অফিস ও লাকসাম উপজেলা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে মনোহরগঞ্জের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল। ইতোমধ্যে মনোহরগঞ্জ উপজেলা পোস্ট কোড আমাদের হাতে এসে পৌছেছে,এর পূর্বে অফিস প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়েছে। এখন পর্যায়ক্রমে মনোহরগঞ্জ উপজেলাবাসী পোস্ট অফিসের সকল সুবিধা ভোগ করতে পারবে এবং নিজস্ব কোড চালু হওয়ায় ভোগান্তি দূর হবে।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজালা রানী চাকমা বলেন, মনোহরগঞ্জ পোস্ট অফিসের নিজস্ব কোড ও পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু না হওয়ার সমস্যাটি দীর্ঘদিনের।যেহেতু মনোহরগঞ্জ উপজেলার নিজস্ব পোস্ট কোড আমরা পেয়েছি। আশা করছি অবশিষ্ট সমস্যাগুলো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।