বড়
পরাজয়ে আসর শুরুর পর ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযানে, চমৎকার বোলিং উপহার দিলেন
আরুন্ধাতি রেড্ডি। সঙ্গে বাকিদের অবদানে পাকিস্তানকে অল্পে আটকে রাখল ভারত।
পরে রান তাড়ায় অনায়াস জয় তুলে নিল হারমানপ্রিত কৌরের দল।
দুবাইয়ে নারী
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে
জিতেছে ভারত। পাকিস্তানের ১০৫ রান তারা পেরিয়ে গেছে ৭ বল বাকি থাকতে।
নিজেদের
প্রথম ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৮ রানের বড় ব্যবধানে হারে ভারত।
পাকিস্তানের বিপক্ষে হারলে শঙ্কায় পড়ে যেত তাদের সেমি-ফাইনালে খেলার
সম্ভাবনা। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্সে কাঙ্ক্ষিত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল
তারা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এ নিয়ে ৮ ম্যাচের ৬টিই
জিতল ভারত। সব মিলিয়ে, এই সংস্করণে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ১৬
ম্যাচে এটি তাদের ত্রয়োদশ জয়।
ভারতের এই জয়ে বড় অবদান রেখে ম্যাচ সেরার
পুরস্কার জিতে নেন আরুন্ধাতি। ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন এই পেসার। দুটি শিকার
ধরেন স্রেয়াঙ্কা পাটিল।
ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ে
নামা পাকিস্তানকে শুরুতেই চেপে ধরে ভারত। ভেতরে ঢোকা দুর্দান্ত এক
ডেলিভারিতে প্রথম ওভারেই গুল ফিরোজাকে বোল্ড করে দেন পেসার রেনুকা সিং।
সিদরা আমিনের স্টাম্প ভেঙে দেন দীপ্তি শার্মা।
২ উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ২৯ রান তোলে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৩১ রানে হারানো পাকিস্তান।
সপ্তম
ওভারে ওমাইমা সোহাইলকে ফেরান আরুন্ধাতি। ওই ওভারে আরেকটি উইকেট পেতে
পারতেন তিনি। কিন্তু ফাইন লেগে মুনিবা আলির সহজ ক্যাচ ছাড়েন আশা সোবহানা।
জীবন
পেয়ে মুনিবা অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৭ রানে তিনি স্টাম্পড হন
স্রেয়াঙ্কার বলে। আলিয়া রিয়াজের পর আগ্রাসী শুরু করা ফাতিমা সানাও ফিরে যান
দ্রুত।
১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪১ রান করা পাকিস্তানের একপ্রান্ত আগলে রেখে
রান বাড়ান নিদা দার। তার ৩৪ বল স্থায়ী ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৮ রানে ভর করেই
কোনোমতে একশ পার করে দলটি।
অল্প পুঁজি নিয়েও ভারতকে কিছুটা চেপে ধরে
পাকিস্তান। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে কেবল ২৫ রান করতে পারে
ভারত, সঙ্গে হারায় স্মৃতি মান্ধানাকে।
এরপর জেমিমাহ রদ্রিগেস ও শেফারি
ভার্মার জুটিতে ভালোভাবেই এগোচ্ছিল ভারত। ছক্কার চেষ্টায় ৩ চারে ৩২ রান করা
শেফালি বাউন্ডারিতে ধরা পড়লে ভাঙে ৪৪ বল স্থায়ী ৪৩ রানের যুগলবন্দী।
কয়েক
ওভার পর পরপর দুই বলে জেমিমাহ ও রিচা ঘোষকে হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়ে যায়
ভারত। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক
ফাতিমা।
চাপে পড়া ভারতকে পথে ফেরান হারমানপ্রিত। ১ চারে ২৪ বলে ২৯ রান
করে মাঠ ছাড়েন তিনি আহত অবসর হয়। দল যখন জয় থেকে স্রেফ ২ রান দূরে, তখন
ঘাড়ে চোট পান ভারত অধিনায়ক।
পরে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই নিদাকে চার মেরে ভারতকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন দলে ফেরা সাজিভান সাজানা।
ভারতের পরের ম্যাচ আগামী বুধবার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আর শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান:
২০ ওভারে ১০৫/৮ (মুনিবা ১৭, ফিরোজা ০, সিদরা ৮, ওমাইমা ৩, নিদা ২৮, আলিয়া
৪, ফাতিমা ১৩, তুবা ০, আরুব ১৪*, নাশরা ৬*; রেনুকা ৪-০-২৩-১, দীপ্তি
৪-০-২৪-১, আরুন্ধাতি ৪-০-১৯-৩, স্রেয়াঙ্কা ৪-১-১২-২, আশা ৪-০-২৪-১)
ভারত:
১৮.৫ ওভারে ১০৮/৪ (শেফালি ৩২, স্মৃতি ৭, জেমিমাহ ২৩, হারমানপ্রিত ২৯, রিচা
০, দীপ্তি ৭*, সাজিভান ৪*; ফাতিমা ৪-০-২৩-২, সাদিয়া ৪-০-২৩-১, নিদা
১.৫-০-১০-০, ওমাইমা ৩-০-১৭-১, নাশরা ৪-০-২১-০, তুবা ২-০-১৪-০)
ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: আরুন্ধাতি রেড্ডি