রোববার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
৮ পৌষ ১৪৩১
অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা গোটাচ্ছে
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১:৩১ এএম |

অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা গোটাচ্ছে
যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি নির্ভর করে শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর। অনেক সময় বিনিয়োগকে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে ধরা হয়। বিনিয়োগ ব্যক্তি খাতে যেমন হতে পারে, তেমনি হয় রাষ্ট্রীয় খাতে। যেকোনো দেশে ব্যক্তি বা বেসরকারি বিনিয়োগ বড় একটা দিক।
বাংলাদেশে বেসরকারি বিনিয়োগ, বেসরকারি ব্যবসা-শিল্প বিশেষ অবদান রাখছে। কিন্তু পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক সংকটসহ বিভিন্ন কারণে গত দুই মাসে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গ্রুপের দেড় শতাধিক কম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই মধ্যে জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮৩টি কম্পানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। কম্পানিগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থায়ীভাবেই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
নিয়ম অনুযায়ী অবসায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কম্পানিগুলো। এরই মধ্যে ১৬০টি কম্পানির বন্ধের প্রক্রিয়াও এগিয়ে চলছে। বন্ধের তালিকায় ছোট প্রতিষ্ঠান যেমন রয়েছে, তেমনি বড় গ্রুপের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। যৌথ মূলধনী কম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরে নিবন্ধিত এসব কম্পানির মধ্যে পণ্য সরবরাহ ও সেবাদানকারী উভয় খাতের প্রতিষ্ঠান আছে।
বন্ধের যে ধারা, তাতে বিশ্লেষকরা একে কিছুটা অস্বাভাবিক বলছেন। কারণ গত অর্থবছরে ২৭৫টি বন্ধ করা হলেও এ অর্থবছরের গত তিন মাসের যে ধারা তাতে ধারণা করা হচ্ছে যে অর্থবছর শেষে এই সংখ্যা অনেক বেশি হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির চাপে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, বিক্রি হ্রাস, সুদের উচ্চ হার, শ্রম অসন্তোষ, পরিবহন ও কারিগরি সমস্যা, ডলার সংকটে কাঁচামালের ঘাটতি, বৈশ্বিক যুদ্ধ ও আকস্মিক বন্যার বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করছে ব্যবসা-উদ্যোগ। পাশাপাশি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে কিছু কম্পানির ব্যবসা করার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে।
বিনিয়োগের জন্য প্রথমত পরিবেশ লাগবে।
চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। হয়রানিমূলক মামলাসহ বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা মহলে আস্থাহীনতা, শঙ্কা, ভয় আর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে। থমকে আছে ব্যবসার প্রসার ও নতুন বিনিয়োগ। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ সক্ষমতা কমে যাওয়ার ঝুঁকির পাশাপাশি ব্যবসা প্রসারেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। ব্যবসায় শ্লথগতির কারণে ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের ব্যবসা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। উল্টো অনেকের চাকরি খোয়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে।
দেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের ভূমিকা ৮২ থেকে ৯০ শতাংশ। অর্থনীতিতে ব্যবসার এই অবদান যেভাবেই হোক তা টিকিয়ে রাখতে হবে। এই সময়ে অর্থনীতির চাকা সচল থাকতে হবে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে অর্থনীতিতে অনেক বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আশঙ্কাজনক, সেটি হলো যদি বেশিসংখ্যক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়, তাহলে কর্মসংস্থানের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে।
দেশের অর্থনীতি নানা রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। ছোট-বড় সব ব্যবসার ক্ষেত্রেই নানা ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। শিল্প, ব্যবসা, বিনিয়োগ-সব কিছুই যেন তার স্বাভাবিক গতি হারিয়ে ফেলছে। দেশের অর্থনীতির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই ব্যবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।













সর্বশেষ সংবাদ
মাতৃভান্ডারের রসমালাইয়ে মাছি-তেলাপোকা!
ফ্যাসিবাদ বিদায় হলে আর ক্ষমতায় ফিরে আসেনা
বাইক চালকের ‘কিল-ঘুষিতে’ অটোচালকের মৃত্যু:
‘দখলদারিত্ব বন্ধ হয়নি, শুধু দখলবাজ পরিবর্তন হয়েছে’
লালমাইয়েবাসের ধাক্কায় প্রাণ গেলো পথচারীর
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লায় অটোচালকের মৃত্যুর ঘটনা ভাইরাল;
কুমিল্লায় ঝগড়া থামাতেগিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
মাতৃভান্ডারের রসমালাইয়ে মাছি-তেলাপোকা!
বিচার বিভাগের রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের সুযোগ এসেছে ... হাবিব উন নবী সোহেল
বাইক চালকের ‘কিল-ঘুষিতে’ অটোচালকের মৃত্যু:
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২