কুমিল্লায় র্যাবের জালে ধরা পরেছে শাকিব ও নাজমুল নামে দুই মাকদ কারবারী। তাদের দুইজনকে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়। এ সময় মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি জব্দ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ও রাতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন কুমিল্লা র্যাব-১১ এর সদস্যরা।
র্যাব-১১ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শিমপুর এলাকা থেকে মো: শাকিবকে আটক করা হয়। মো: শাকিব জেলার কোতয়ালী থানার চরপাড়া গ্রামের মৃত বাবুল মিয়ার পুত্র। আর নাজমুল হাসানকে জেলার কোতয়ালী থানার বাশমঙ্গল এলাকা থেকে আটক করা হয়। মোঃ নাজমুল হাসান (২৫) জেলার বুড়িচং থানার আনন্দপুর গ্রামের মোঃ সিরাজ মিয়ার পুত্র। অভিযানের সময় আসামী শাকিবের নিকট থেকে ৩০ কেজি গাঁজা এবং আসামী নাজমুলের নিকট থেকে এক হাজার ছয়শ ২০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট এবং মাদক পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত ০১টি সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জানিয়েছে তারা দীর্ঘদিন থেকে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাদকসেবী ও মাদকব্যবসায়ীদের নিকট খুচরা ও পাইকারী বিক্রয় করে আসছে। শাকিবকে কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের উভয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কুমিল্লা র্যাব-১১ এর উপ-পরিচালক ও কোম্পানী কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে এই দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও র্যাব প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত ভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জঙ্গি, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১, সিপিসি-২ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।