কুমিল্লার
চান্দিনায় অসহায় দরিদ্র ও অস্বচ্ছল পরিবারেরকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে ৩
জন দরিদ্র রিকশা চালকের মাঝে বিনামূল্যে রিকশা বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার
(২৯ অক্টোবর) চান্দিনা পৌরসভাস্থ জামিরাপাড়া, হোরেরপাড় এলাকায় দরিদ্র
পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে এফআর হিউম্যান কেয়ার ফাউন্ডেশন এই রিকশা বিতরণ
করে। এর আগেও বিভিন্ন ধাপে ১২টি রিকশা বিতরণ করে ফাউন্ডেশন। এই নিয়ে ১৫ জন
দরিদ্র পরিবারের মাঝে এই রিকশা বিতরণ করে। ফাউন্ডেশনের এই উপকরণ পেয়ে খুশি
উপকারভোগী পরিবারগুলো।
এর আগে আলোচনা সভায় এফআর হিউম্যান কেয়ার সংগঠনের
চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে
ইসলামী চান্দিনা পৌরসভা শাখার সেক্রেটারী মাওঃ আবুল হাশেম।এসময় উপস্থিত
ছিলেন পৌরসভা জামায়াত ইসলামের ছায়কোট বাগমারাপাড় ইউনিট সভাপতি কাজী
আব্দুল্লাহ মু. তাহের, কর্মী মো. মাসুদ সরকার,মো. ইমরান হোসেন।
পৌর
জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা আবুল হাশেম তার বক্তব্যে বলেন,শুধুমাত্র
খাবার সামগ্রী দিয়ে দারিদ্র্য নিরসন করা সম্ভব নয়। প্রয়োজন টেকসই উন্নয়ন।
তাই অসচ্ছল পরিবারের মাঝে রিকশা বিতরণ করে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে এফআর
হিউম্যান কেয়ার ফাউন্ডেশন এমন আয়োজন করেছে। এফআর হিউম্যান কেয়ার ফাউন্ডেশন
২০১৭ সাল থেকে চান্দিনা পৌরসভার দরিদ্র অসহায় মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য
রিকশা, ভ্যানগাড়ি, সেলাই মেশিন, ঈদ উপহার, চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন
সহযোগিতা করে আসছে।
রিক্সা পাওয়া রুপ মিয়া বলেন, বাংলা রিক্সা চালিয়ে
ভাড়া মেরে কোন রকম সংসার চালাতাম। বাংলা রিক্সার কারণে অনেকে আমার রিকশায়
উঠত না। ফলে তিন বেলা ঠিকমতো খেতেও পারতাম না। এখন এফআর হিউম্যান কেয়ার
ফাউন্ডেশন থেকে আমাকে ব্যাটারি চালিত রিক্সা দিয়েছে। এই রিক্সা চালিয়ে আমি
এখন আয় করবো তা দিয়ে সংসার চালাবো। আশা করি আগের থেকে বেশি প্যাসেঞ্জার
পাব।
উপকারভোগী শরিফ মিয়া বলেন, আগে ভাড়া গাড়ি চালিয়েছি ২থেকে ৩শ টাকা
কামাই করছি। তাতেও কষ্ট হয়ে গেছে সংসার চালাইতে। এখন ব্যাটারি চালিত
রিক্সার মাধ্যমে কামাই করে পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে
পারমু।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম বলেন, সমাজের অসহায়
মানুষদের স্বাবলম্বী করতে কাজ করে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতা আজ ৩ জন
অসস্বচ্ছল মানুষের মাঝে রিকশা বিতরণ করা হয়। আমরা আশা করি এই অটো রিক্সা
যারা পেয়েছে তারা রিক্সা চালিয়ে স্বাবলম্বী হবে। তারা ভালোভাবে জীবন যাপন
করতে পারবে। ভবিষ্যতেও আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।