শুক্রবার ৩ জানুয়ারি ২০২৫
২০ পৌষ ১৪৩১
সামষ্টিক অর্থনীতি ব্যবস্থাপনায় সংস্কার
ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:১৯ এএম |

  সামষ্টিক অর্থনীতি ব্যবস্থাপনায় সংস্কার
বাংলাদেশের আর্থিক খাতে মূলত বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এখন পর্যন্ত যে সংস্কার হয়েছে, সেগুলো ব্যাংকঋণ বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি উন্নতকরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। নির্দিষ্ট খাতটির উন্নতিকল্পে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগগুলো বেশির ভাগ ব্যাসেল-১, ২ বা ৩-এর আলোকে গৃহীত তথা ঝুঁকির বিপরীতে মূলধন ব্যবস্থাপনাভিত্তিক।
বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বাড়লেও অনেক জ্ঞাত-সংকট দীর্ঘদিন ধরেই সমাধানে ব্যর্থ। কোনো দেশ তার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ততক্ষণ পর্যন্ত টেকসই করতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আর্থিক খাতে গভীরতা আনে এবং রপ্তানিমুখী অর্থনীতি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। যেসব দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ক্রমাগত ৬ বা ৭ শতাংশ করে বাড়িয়েছে, তারা এ পথেই এগিয়েছে। সেসব দেশ বেসরকারি খাতকে চালকের আসনে বসিয়েছে। ১৮ কোটি জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে সম্ভাবনা প্রচুর। অথচ আর্থিক খাতের গভীরতা ও পণ্য বা পরিষেবা বিবেচনায় এশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে। যেমন খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে, কস্ট অব ডুইং বিজনেসের বেপরোয়া বৃদ্ধি থামানোয় সুশাসন বা গুড গভর্ন্যান্স কার্যকর করা যায়নি। 
কারা ব্যাংকের মালিক, কারা বেশি বেশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যাচ্ছেন, মন্দ ঋণ আদায়ে কারা অভিনবত্ব ও দক্ষতা দেখাচ্ছেন, পণ্যস্বল্পতা ও প্রযুক্তির ব্যবহার, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহনশীলতা, আর্থিক খাতের ব্যবস্থাপনায় কতটুকু মেধা লালন করতে পারছে, আর্থিক খাতের পরিচালকদের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়ে অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যাবে, তা নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দাবিদার। 
এখনো মূলত পরিচালকরাই ব্যাংকের মালিক এবং তারা ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাজে হস্তক্ষেপ করেন। এর একটা সুরাহা ও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আবশ্যক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা, প্রোডাক্টের বৈচিত্র্য এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা- এই তিন দিকে নজর দিতে হবে। বিকাশমান রপ্তানি ও বেসরকারি খাতভিত্তিক অর্থনীতিতে নিয়মকানুন সব মান্ধাতা আমলের হলে চলবে না। যেমন- ১৯৪৭ সালের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে চলার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন যুগের সমস্যা সমাধানে হিমশিম খাচ্ছে।
আবার সবকিছুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অসীম ক্ষমতার কারণে সেখানকার শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে আমলাতান্ত্রিক চিন্তভাবনার জন্ম নিয়েছে। বাংলাদেশে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে কঠিন শর্তে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হয়, যখন দেখা যায় ওই প্রকল্প লাভজনক হতে যে সময় প্রয়োজন তার কোনো ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল নেই। বাংলাদেশে তিন বছরের বেশি মেয়াদি কোনো ফিক্সড ডিপোজিট নেই। বেশির ভাগ ফিক্সড ডিপোজিটের মেয়াদ এক বছর। এ রকম অবস্থায় অন্যান্য দেশ বাজারে বন্ড ছাড়ে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের উৎসাহ থাকার পরও বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি বন্ড ছাড়তে পারেনি। ফলে বাংলাদেশের মুদ্রাবাজারে তেমন গভীরতা নেই। 
আর্থিক খাত ব্যবস্থাপনায় পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিযোগী দেশ বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। গ্রাহকদের নতুন নতুন চাহিদা মেটাতে প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর নতুন সেবাপণ্য আনতে পারছে না। পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক ঠিকভাবে চালাতে পারেনি, এমডি-ডিএমডিদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি। এখন সময় এসেছে এসব বিচার-বিবেচনার। প্রয়োজন কার্যকর দিকনির্দেশনার। 
বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতে খেলাপি ঋণের মতো এ খাতের সংস্কারও বকেয়া রয়েছে দীর্ঘদিন। শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো আর্থিক খাতের গভীরতা ছাড়া একটি দেশ তার উন্নয়ন আর অগ্রগতিকে টেকসই করতে পারে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশের আর্থিক খাত কয়েক বছর ধরে সবচেয়ে খারাপ সময় অতিক্রম করছে। 
সম্প্রতি বাংলাদেশে তার প্রথম সফর শেষে এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) আন্না বিজার্ড বলেছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে, জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক খাতের সংস্কার প্রয়োজন। বাংলাদেশে বেসরকারি ব্যাংক কাজে বড় না হয়ে সংখ্যায় বড়। এই ব্যাংকগুলো অনেক দিন ধরে ভালোই চলছিল। কিন্তু গত ১৫ বছরে জনগণের টাকা নিয়ে ব্যাংকিং করা এসব প্রতিষ্ঠানে মালিক নামের একশ্রেণির লোকের জমিদারি কায়েম করা হয়। 
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগের প্রসার ও অর্থনৈতিক উনয়নে ব্যাংক ও আর্থিক খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এলেও সেই ব্যাংকিং খাতের স্বাস্থ্য ক্রমাগত দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে পড়ায় এ খাতের নানা কেলেঙ্কারির ঘটনার পেছনে রয়েছে দুর্বৃত্তদের রাজনৈতিক প্রশ্রয়, দুর্বল ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবস্থাপনার চর্চা ও যথাযথ অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণের ঘাটতি। আইনের মাধ্যমে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে ব্যাংকগুলোর দৈনন্দিন কাজে মালিকরা হস্তক্ষেপ করেন, নিজেরা নামে-বেনামে ঋণ নিয়েছেন। ব্যক্তি খাতের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো না কোনো ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর যোগ থাকায় এরা সবাই প্রতিপত্তিশালী এবং ক্ষমতা কাঠামোর ভেতরে ছিল এদের অবস্থান। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের চলমান সংকটাবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলো সবার এখন মোটামুটি জানা, তাই সমাধানের উদ্যোগ এখনই প্রয়োজন। স্বল্প ও মধ্যম মেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণ করে আইনি ও কাঠামোগত সংস্কার জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। 
ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ওপর সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর ছাড়তে হলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে পুনর্গঠনের প্রয়োজন হতে পারে। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংককেও অনেক বেশি বিকেন্দ্রীকরণের কথা চিন্তা করতে হবে। বড় বড় ঋণখেলাপি আর দুর্বৃত্তদের কিছু করতে না পারলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রমেই নিজের হাতে অনেক ক্ষমতা নিয়ে আমলাতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী খেলাপি ঋণে কী পরিমাণ সুবিধা দেওয়া হবে, সেটা পুরোটা ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ওপর। ফলে ব্যাংক মালিকরাই তখন ঠিক করতেন কে খেলাপি আর কে খেলাপি নয়। এতে করে জাল-জালিয়াতি, অনিয়ম আর প্রতারণাই নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়। 
রাজস্ব ও উন্নয়ন ব্যয় বাজেটের দুটি অংশ। একটি অংশ রাজস্ব বাজেট এবং অন্যটি উন্নয়ন বাজেট। একটি অংশ সরকারের যে ব্যয় সেটিতে বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে একটু পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ল অ্যান্ড অর্ডারে। যেমন- আমাদের অনেক থানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো সংস্কার প্রয়োজন। এ ছাড়া এ বাজেট যখন করা হয়েছিল তখনকার পরিস্থিতি আর বর্তমান পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। কাজেই বাস্তবতার নিরিখে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাজেট পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজন রয়েছে। রাজস্ব আয় ও ব্যয় যেটি প্রাক্কলন করা হয়েছে, সেটিও পুনরায় প্রাক্কলন করার প্রয়োজন হবে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে যে রাজস্ব পাওয়ার কথা, সেটিকে পুনরায় নির্ধারণ করতে হবে। আবার বৈদেশিক সহায়তার ক্ষেত্রেও অনেক ভাবতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আয় ও ব্যয় উভয় ক্ষেত্রেই ভাবতে হবে।
যেটি উন্নয়ন বাজেট, সেখানেও অনেক প্রকল্প রয়েছে। যেগুলোকে গুরুত্ব বিবেচনায় পুনরায় নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া এখানে অনেক প্রকল্প আছে যেগুলো রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। অনেক প্রকল্প আছে যেগুলোর অ্যালোকেশন নেই। গোটা বাজেটটাকে কিন্তু পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার। বিভিন্ন খাতভিত্তিক ব্যয়ও বাস্তবতার আলোকে পুনরায় নির্ধারণ করতে হবে। 
আরেকটা জিনিস হচ্ছে- অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণ যা আছে, তা তো পরিশোধ করতেই হবে। কারণ ঋণ সময়মতো পরিশোধ করতে না পারলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটা দুর্নাম হবে। ঋণমান কমে যাবে, যা পরবর্তী সময়ে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। যেমন- বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড, শিক্ষা, জ্বালানিসহ রাষ্ট্রের অন্যান্য যে কর্মকাণ্ড আছে, অর্থসংকটের কারণে সেগুলো ঠিক রাখা কঠিন হবে। যেসব ক্ষেত্রে সরকারের পরিবর্তনের সুযোগ খুব একটা নেই, সেসব দিক বিবেচনায় নেওয়া দরকার। একই সঙ্গে রাজস্ব আয়কে শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থায় যেসব ভুলত্রুটি রয়েছে, সেগুলোকে মাথায় রেখে আগামীতে কাজ করতে হবে। রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি বৈদেশিক সহায়তা কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সেটি ভাবতে হবে। কীভাবে রেমিট্যান্স বাড়ানো যায় বা রপ্তানি আয় কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়; সেসব ভাবতে হবে। আমদানি কমাতে হবে। যদিও অর্থনীতি আমদানিনির্ভর কিন্তু সেখানে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে যদি আমরা সহজ শর্তে নিতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়। দেশে তো বর্তমানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর অবস্থা ভালো না। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের খুব বেশি ঋণ পাওয়ার সুযোগ নেই। ফলে আয় বৃদ্ধি করা ছাড়া সরকারের সামনে ভালো কোনো পথ খোলা নেই। আর অপ্রয়োজনীয় ব্যাংক যেগুলো আছে, এগুলোকে যতটুকু সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। কারণ দুর্নীতি-অপচয় কিন্তু অনেক আছে। সেসব বন্ধ করতে হবে। অপচয়টা বেশি। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। রাজস্ব আয়ের একটা বড় অংশ অপচয় হয়ে যায়। আরেকটা অংশ দুর্নীতির মাধ্যমে বেহাত হয়। এই দুই জায়গায় ভালোভাবে কাজ করতে হবে। অপচয় ও দুর্নীতি যদি বন্ধ করা যায়, তাহলে সরকারের জন্য বাকি কাজ করা সহজ হবে। অর্থের সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে। সে ক্ষেত্রে সরকারকে অবশ্যই খুব হিসেবি হতে হবে।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ সামষ্টিক অর্থনীতি ব্যবস্থাপনার সফলতার সূচক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পারঙ্গমতার ওপর নির্ভরশীল। সরকারকে যদি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়; অর্থাৎ পণ্য, সেবা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং টাকার অবমূল্যায়ন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, তাহলে আগামী তিন বছরের মধ্যেই এ সমস্যা সমাধানের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। নানা ধরনের সংস্কারের মধ্য দিয়ে এটি সুরাহা করা প্রয়োজন। এ সময়ের মধ্যে সরকার কোনোভাবেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম আর বাড়াবে না। মূল্যবৃদ্ধিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রভাব ৬ শতাংশের বেশি। এ সময়ে সরকারকে সব উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করে এ খাতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে হবে। এ অঙ্গীকার করেই সরকারকে মাঠে নামতে হবে।
এটি সরকারের জন্য কঠিন একটি চ্যালেঞ্জ। আর এ চ্যালেঞ্জ যদি সরকার মোকাবিলা করতে না পারে, তাহলে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুরক্ষা হবে না, কর্মসংস্থান হবে না, উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হবে। রপ্তানি হুমকিতে পড়বে এবং আরও আমদানিনির্ভর হতে হবে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দিন শেষে সরকারের আয় আরও সীমিত হয়ে পড়বে। ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করে কতটা কৃচ্ছ্রসাধন করা যাবে, সেটা বলা মুশকিল। অর্থাৎ সংকট নিরসনের সুযোগ বা সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসবে। এ দৃষ্টিকোণ থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ এবং রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা, জ্বালানি নিরাপত্তা সমুন্নত রাখাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। সরকারের কাজ হবে ব্যয় সাশ্রয় করা ও ব্যয় বৃদ্ধির জায়গাগুলো চিহ্নিত করা। চিহ্নিত করে সেই ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনা।
লেখক: সাবেক সচিব ও এনবিআরের চেয়ারম্যান













সর্বশেষ সংবাদ
অধ্যাপিকা শরমিন কাদেরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
মনোহরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, আহত ১০
তরুণ প্রজন্ম আমাদের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে
লাকসামে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদক কারবারী দম্পতি আটক
দুই শিক্ষকের রাজসিক বিদায়
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লায় তারুণ্যের উৎসবে মানুষের ঢল
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত
‘জিয়াউর রহমানের নাম নিলে বেহেশত নিশ্চিত’ বিএনপি নেতার বক্তব্য ভাইরাল
কুমিল্লায় জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কুমিল্লায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২