কুবি
প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ‘এন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ অ্যান্ড
লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব’ (ইএলডিসি) আয়োজিত পাবলিক স্পিকিং প্রতিযোগিতা
“টিক ইয়োর টক ৩.০” এর ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার
(২ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের
কনফারেন্স রুমে এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল পর্বে মোট
১০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন
মাইনুল ইসলাম, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন কানিজ ফাতেমা এবং যৌথভাবে তৃতীয়
স্থান অধিকার করেন ফাহিমা সুলতানা রাতোয়া ও আসিফ ফেরদৌস জিডনি।
অনুষ্ঠানে
অতিথি ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ
সোলায়মান এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আহসান
উল্ল্যাহ।
অধ্যাপক ড. আহসান উল্লাহ বলেন, “আমাদের উদ্যোক্তা হতে হবে
যাতে চাকরি খুঁজতে না হয়। ইএলডিসির মতো সংগঠনগুলো এ কাজটিই করে থাকে।
নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে নিজের প্রয়োজন অনুসারে এবং দেশের কথা ভাবতে হবে।
এমন সংগঠন থেকে নেতৃত্বের গুণ অর্জন করলে তা সম্ভব।”
কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: সোলায়মান বলেন, “আমরা যদি আমাদের
উপস্থাপন এমনভাবে করতে পারি যাতে তা প্রাসঙ্গিক ও সার্বজনীন হয়, তবেই এর
সার্থকতা আসবে। আমি আশা করি, এরকম ক্লাবের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হবে,
যা আমাদের সঠিকভাবে উপস্থাপনের সুযোগ দেবে।”
ইএলডিসি ক্লাবের সভাপতি
শাহরিয়ার সাফল্য বলেন, "আমরা এই কমিটির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত
অনেকগুলো কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। আমরা যখন দায়িত্ব পেলাম তখন আমাদের
অভিজ্ঞতা কম ছিল ।তবুও চেষ্টা করেছি, কমিটি পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই একটি
প্রোগ্রাম আয়োজন করতে।”
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন গণিত
বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের
সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ এবং মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক
মাহফুজুর রহমান।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএলডিসি সংগঠনটি
শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্যোক্তা দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে কাজ করে
যাচ্ছে। "টিক ইয়োর টক" প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাবলিক স্পিকিং
স্কিল উন্নয়ন ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে এই সংগঠনটি।