ভারতের মুম্বাই পুলিশের কাছে অচেনার নাম্বার ফোন এসেছিল। এতে শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, ৫০ লাখ টাকা না দিলে খুন হবেন শাহরুখ খান। ফোনের লোকেশন যাচাই করে ছত্তিশগড়ে পৌঁছে যায় মুম্বই পুলিশ। জানা যায়, ফয়জান খান নামের এক ব্যক্তির নম্বর থেকেই ওই হুমকি ফোন গিয়েছিল পুলিশের কাছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩০৮ এবং ৩৫১ ধারায় অভিযোগ দায়ের করে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার তদন্ত শুরু করে দেয় মুম্বাই পুলিশ।
এর পরই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে। যেদিন শাহরুখকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়, সেদিনই ফয়জান খানের বাড়িতে যায় পুলিশের একটি টিম। সেখানে গিয়ে তদন্তকারী পুলিশকর্মীরা জানতে পারেন, ফয়জান নামের ওই ব্যক্তি পেশায় আইনজীবী।
ফয়জানের দাবি ছিল, গত ২ নভেম্বর শাহরুখের জন্মদিনে তার মোবাইল ফোন চুরি হয়। সেই কারণে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা রয়েছে বলেও দাবি করা হয়। তবে শোনা গেছে, ফয়জানের বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় মুম্বাই পুলিশ। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও একটি সূত্র বলছে, এর আগে বান্দ্রা থানায় শাহরুখের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন ফয়জান। তার অভিযোগ ছিল, ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আঞ্জাম’ সিনেমায় একটি হরিণ হত্যার দৃশ্য ছিল। অভিনেতা নাকি এমন দৃশ্যের মাধ্যমে দুই ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছেন। শোনা গেছে, শাহরুখের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগও এনেছিলেন ফয়জান। প্রাণনাশের হুমকির পরই শাহরুখের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রয়েছেন বলিউড কিং খান।