প্রকাশ: বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:০২ পিএম |
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ৮ বাসযাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় সাবেক আইজিপি শহিদুল হক ও যুগ্ম সচিব কিবরিয়াসহ তিনজনকে দুই দিনের রিমান্ড শেষ কুমিল্লা আদালতে হাজির করা হয়েছে। বুধবার বিকালে কুমিল্লা সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা সুলতানার আদালতে তাদের প্রথম রিমান্ড পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রিমান্ড শেষ তদন্ত কর্মকর্তার আরো ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে সাবেক আইজিপি ও সাবেক যুগ্ম সচিবের আদালতে উপস্থাপনা নিয়ে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যরা এ সময় নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে। অভিযুক্ত সাবেক আইজিপি ও সাবেক যুগ্ম সচিব কে দুপুর দুইটায় আদালতে আনার কথা থাকলেও প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর তাদেরকে আদালতে আনা হয়।
শুনানী শেষে কুমিল্লা আদালতের পিপি কাইমুল হক রিংকু জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক যুগ্ম সচিব গোলাম কিবরিয়া ও জহিরুল ইসলাম সেলিম নামে একজনের আবারো দশ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ আদালত আবারো দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিনি আরো বলেন, মামলায় অভিযুক্তদের সাধারণ অভিযুক্ত হিসেবে আমলে নিয়েই কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানাই। মামলায় যারা আরও আসামি রয়েছেন তাদেরকেও গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
২০১৫ সালে ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে আইকন পরিবহনের একটি বাসে একটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় আটজনের মৃত্যু হয়। এই তৎকালীন পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করে তৎকালীন পুলিশ। তবে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ১১ ই সেপ্টেম্বর কুমিল্লা আদালতে একই ঘটনায় পাল্টা মামলা দায়ের করেন নাশকতা কবলিত ওই বাসটির তত্ত্বাবধায়ক পরিচয়দানকারী আবুল খায়ের। বর্তমান মামলাটিতে সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যানজির আহমেদ, কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তীস সহ ১৩০ জনের নামোল্লেখসহ অন্তত ১৯০ জনের বিরুদ্ধেআদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক মশিউর আলম এই মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা।