আইসিসির
র্যাঙ্কিংয়ের বড় তালিকায় অনেকটা দিন ধরেই বাংলাদেশের পতাকাটা ধরে
রেখেছিলেন সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটের সব ফরম্যাটেই অলরাউন্ডারের তালিকায়
সাকিব আল হাসানের নামটা থাকতো ওপরের দিকেই। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট
থেকে অবসরের পর তার নামটা সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছে আইসিসি। টেস্ট ফরম্যাটে
তার অবসরের স্পষ্ট কোনো ঘোষণা এখন পর্যন্ত আসেনি।
তবে আইসিসি বিষ্ময়ের
জন্ম দিয়েছে ওয়ানডে র্যাঙ্কিং থেকে সাকিব আল হাসানের নামটা সরিয়ে দিয়ে।
সবকিছু মেনে নিলেও এখন পর্যন্ত সাকিব বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটেই কেবল
নিজেকে ধরে রেখেছেন। যদি আইসিসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিংয়ের
পর্দায় তার নাম নেই। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের নামটা সেখানে দেখতে না পেয়ে
অবাকও হয়েছেন অনেকেই।
অবশ্য আইসিসি সাকিবের নামটা র্যাঙ্কিং থেকে
সরিয়েছে নিজেদের নিয়মের কারণেই। এক বছর কোনো ম্যাচ না খেললে নাম ওঠে না
আইসিসির তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলা হয় নাম। বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের সঙ্গেও
তাইই ঘটেছে। ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বরের পর থেকে যে দেশের জার্সিতে একদিনের
ক্রিকেটে আর খেলেননি সাকিব।
বিশ্বকাপে বহুল আলোচিত শ্রীলংকার বিপক্ষে
ম্যাচটাই সাকিবের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ। সেই ম্যাচটায় সাকিব ছিলেন অধিনায়ক।
টাইমড আউটের আলোড়ন তোলা ঘটনাও হয়েছিল সেদিন। আবার সাকিব ছিলেন ম্যান অব দ্য
ম্যাচ। বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটা বাংলাদেশের খেলা ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
সেটায় ছিলেন না সাকিব। এরপর বাংলাদেশ দুইটি সিরিজ খেললেও সাকিব ছিলেন না
স্কোয়াডে।
সাকিব অবশ্য একটি ম্যাচ খেললেই আবারো ঢুকে পড়বেন
র্যাংকিংয়ে। এ মুহূর্তে ওয়ানডের অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে যথারীতি শীর্ষে
আছেন মোহাম্মদ নবী। দুইয়ে জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা, তিনে আরেক আফগান
রশিদ খান। চতুর্থ স্থানে বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ।
সাকিব আল
হাসানের বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে
অবসর নেবেন তিনি। তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে
বিতর্কিত হয়েছেন সাকিব নিজেও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাংলাদেশের আছে আর
তিন ওয়ানডে। উইন্ডিজ সফরের সেই ম্যাচগুলোতে সাকিব থাকবেন কি না তা জানা
যায়নি। সেক্ষেত্রে দোদুল্যমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই হয়ত শেষবার দেখা যেতে
পারে সাকিব আল হাসানকে।