কোরআনের
৫৯তম সুরা হাশরের শেষ তিনটি আয়াতে আল্লাহর পবিত্রতা, মহত্ত্ব ও ক্ষমতার
বর্ণনা এসেছে। মহান আল্লাহর বেশ কিছু গুণবাচক নামের উল্লেখ এসেছে। বেশ কিছু
হাদিসে এ তিনটি আয়াতের বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। একটি হাদিসে সকালে ও
সন্ধ্যায় এ তিন আয়াত তিলাওয়াতের বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।
মা’কিল ইবনে
ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
বলেন, যে ব্যক্তি সকালে উপস্থিত হয়ে তিনবার ‘আউযু বিল্লাহিস-সামীঈল আলীমি
মিনাশ শাইতানির রাজীম’ (অর্থাৎ বিতাড়িত শয়তান থেকে সর্বজ্ঞ ও সর্বশ্রেতা
আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করি) তারপর সুরা হাশরের শেষের তিন আয়াত পাঠ করবে,
আল্লাহ তাআলা তার জন্য সত্তর হাজার ফেরেশতা নিয়োজিত করবেন। তারা সন্ধ্যা
পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকবেন।
সে ওই দিন ইন্তেকাল করলে তার শহীদি
মৃত্যু হবে। যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তা পাঠ করবে, সেও একই রকম মর্যাদা লাভ
করবে। (সুনানে তিরমিজি: ২৯২২)
সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত, উচ্চারণ ও অর্থ
উচ্চারণ:
হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু আলিমুল গাইবি ওয়াশ শাহাদাতি হুয়ার
রাহমানুর রাহিম। হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু আল-মালিকুল কুদ্দুসুস
সালামুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আযিযুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। সুবহানাল্লাহি
আম্মা ইউশরিকুন। হুআল্লাহুল খালিকুল বারিয়ুল মুসাওয়্যিরু লাহুল আসমাউল
হুসনা। ইউসাব্বিহু লাহু মা ফিসসামাওয়াতি ওয়াল আরদ্, ওয়াহুয়াল আযিযুল হাকিম।
অর্থ:
তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই; দৃশ্য-অদৃশ্যের জ্ঞাতা; তিনিই পরম
করুণাময়, দয়ালু। তিনিই আল্লাহ; যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ,
মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত, নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক, মহাপরাক্রমশালী,
মহাপ্রতাপশালী, অতীব মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে পবিত্র মহান।
তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদানকারী; তার রয়েছে সুন্দর
নামসমূহ; আসমান ও জমিনে যা আছে সবই তার মহিমা ঘোষণা করে। তিনি
মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।