কবির
হোসেন, তিতাসঃ কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ওমরপুর গ্রামে কিশোর গ্যাং গ্রুপের
মারধরে আহত প্রবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় তার বড় বোন আয়শা আক্তার বাদী হয়ে ২৫
জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০/১৫ জনের নাম অজ্ঞাত রেখে তিতাস থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার রাতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এলাকাবাসী
সুত্রে জানা যায়, (৩১ অক্টোবর) রাত আনুমানিক দশটায়,স্বপনকে ইয়াবা বিক্রি ও
সেবন করার অভিযোগ তুলে একই গ্রামের শান্তি মিয়ার ছেলে মো.আসিফের নেতৃত্বে
রাহিম বাবু,দিপু,নাজমুল, রোকন,রাকিব,সাইদুলসহ ২০/৩০ জনের একটি কিশোর গ্যাং
গ্রুপ স্বপনকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে রেনু ভূইয়ার বাড়িতে নিয়ে বেদম মারধর
করে,এক পর্যায়ে হামলাকারীরা স্বপনকে গ্রামের জাকির মিয়ার দোকানের সামনে
নিয়ে এসে আবারও মারধর করে ঐসময় স্বপন নিজেকে বাচাতে দৌড় দিলে হামলাকারীরা
পিছে পিছে দৌড়ে গিয়ে বেদরক পিটিয়ে গুরতর আহত করে পুনরায় জাকির মিয়ার
দোকানের সামনে আহত স্বপনকে রেখে চলে যায় হামলাকারীরা। পরে স্বপনের স্বজনরা
খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে স্বপনকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত
চিকিৎসার জন্য ডাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন,১২ দিন পর ঢাকার
একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৃত্যুর
কোলে ডলে পরেন স্বপন। নিহত স্বপনের স্ত্রী নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা মরিয়ম
বেগম বলেন,বিনা অপরাধে আমার স্বামীকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে
এবং আমার সাত বছরের ছেলে মাহিনকে এতিম করেছে।আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার
চাই।
ওমরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো.খোকন ভূইয়া বলেন,নিরঅপরাধ স্বপনকে
যেভাবে নির্যাতন হত্যা করা হয়েছে, এমন ঘটনা আমরা গ্রামবাসী মেনে নিতে
পারছিনা,স্বপন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন
শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
মামলার বাদী আয়শা আক্তার
বলেন,আমার ছোট ভাইকে বিনা অপরাধে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আসিফ,রহিম
বাবু,দিপু,নাজমুল রোকন,রাকিবসহ ৩০/৪০ জনের কিশোর গ্যাং গ্রুপ পিটিয়ে মেরে
ফেলেছে। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই এবং দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের দাবি
জানাচ্ছি।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুনুর
রশিদ বলেন,নিহত স্বপ্নের বড় বোন আয়শা আক্তার বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ
করে আরো ১০/১৫ জন অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা করেছেন,আমরা অভিযুক্তদের
গ্রেফতারের জন্য কাজ করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের আইনের আওতায়
আনতে পারব বলে আশা করি।