প্রকাশ: রোববার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:১৫ এএম |
প্রথম তিন টি-টোয়েন্টি জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। তাই চতুর্থ ম্যাচটি ছিল ডেড রাবার। সেই ম্যাচে ২১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৫ উইকেটে সিরিজের প্রথম জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ডেড রাবার ম্যাচ হওয়ার পরও ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দর্শকদের আগ্রহের কমতি ছিল না। ব্যাটাররাও বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। হাই স্কোরিং ম্যাচে ক্যারিবীয় দলটি নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ার নজির গড়েছে।
সিরিজে সংগ্রাম করছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডার। এদিন অবশ্য শুরু থেকেই চড়াও হন ওপেনার শাই হোপ ও এভিন লুইস। ৯ ওভারেই ১৩৬ রানের জুটি গড়েন তারা। হোপ তার হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন ২৩ বলে। লুইসও কম ছিলেন না। লিভিংস্টোনের অষ্টম ওভারেই মেরেছেন ৩টি ছয়! হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন ২৬ বলে। লুইসকে বিদায় দিয়ে জুটি ভাঙেন রেহান আহমেদ। ফেরার আগে ৩১ বলে ৪ চার ও ৭ ছক্কায় ৬৮ করেছেন লুইস। তাতে ছন্দ পতন ঘটে ইংনিংসে। টানা তিন বলে বিদায় নেন তিনজন! রেহান প্রথম ও তৃতীয় বলে নেন লুইস আর নিকোলাস পুরানের উইকেট। দ্বিতীয় বলে রানআউটের শিকার হন হোপ। ২৪ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ রানে হোপ আউট হলে ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। কিন্তু অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলের ২৩ বলে ৩৮ রান ম্যাচটা আবার স্বাগতিকদের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসে। ১৭তম ওভারে পাওয়েলের আউটে ইংল্যান্ড কিছুটা নিয়ন্ত্রণ পেলেও ১৯তম ওভারে শেরফানে রাদারফোর্ডের ব্যাক টু ব্যাক ছক্কায় ৬ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪৩ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন রেহান আহমেদ।
শুরুতে টস হেরে ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে ২১৮ রান করেছিল। যার মঞ্চটা গড়ে দেন ফিল সল্ট। উইল জ্যাকসের সঙ্গে ৫৪ রানের বিস্ফোরক জুটির পর জশ বাটলারের সঙ্গে ৪৮ রান যোগ করেছেন। ফেরার আগে সল্ট ৩৫ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় করেছেন ৫৫ রান। বাটলার ২৩ বলে ৩৮ রানে ফিরলে তার পর চোখ ধাঁধানো ইনিংসে হাই স্কোরিং স্কোরবোর্ড পেতে সহায়তা করেন জ্যাকব বেথেল। ২২ বলে তুলে নেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত থেকেছেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪০ রানে দুটি উইকেট নেন গুডাকেশ মোটি। একটি করে নিয়েছেন আলজারি জোসেফ ও রোস্টন চেজ। ম্যাচসেরা শাই হোপ।