স্টাফ রিপোর্টার।। কুমিল্লার বিশিষ্ট ঠিকাদার মশিউর রহমান চৌধুরী লাভলুর বিরুদ্ধে করা চেক ডিজঅনারের মামলা তুলে নেবেন বলে জানিয়েছেন সিলেটের পাথর ব্যবসায়ী একতা স্টোন ক্রাশারের মালিক আহমদ উল্লাহ।
গত ১৮ নভেম্বর দৈনিক কুমিল্লার কাগজে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে কুমিল্লার কাগজের হোয়াটস অ্যাপে এক লিখিত বিবৃতিতে আহমদ উল্লাহ এ কথা জানিয়েছেন। তিন কোটি ২০ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে মামলা করলেও তিনি এখন বলছেন, কুমিল্লার বিশিষ্ট ঠিকাদার মশিউর রহমান চৌধুরী লাভলু সিলেটে বিগত প্রায় ৩৫ বছর ধরে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের সাথে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছেন বিধায় সেই সূত্রে তিনি ঠিকাদার লাভলুর সাথেও ব্যবসা করেছেন। এছাড়া প্রকাশিত সংবাদে ঠিকাদার মশিউর রহমান চৌধুরী লাভলু লাপাত্তা বলে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করে সিলেটের পাথর ব্যবসায়ী একতা স্টোন ক্রাশারের মালিক আহমদ উল্লাহ বলেছেন, আমার জানামতে তিনি নিয়মিত প্রতিদিন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিসে বসেন।
সিলেটের পাথর ব্যবসায়ী একতা স্টোন ক্রাশারের মালিক আহমদ উল্লাহ আরো বলেন, মশিউর রহমান চৌধুরী লাভলুর দীর্ঘদিনের ব্যবসা বিদ্যমান যার প্রেক্ষিতে বর্তমানেও তার সাথে আমার ব্যবসা চলমান রয়েছে। এছাড়া একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নামের কোনো ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয়ে তিনি তার সাথে ব্যবসা করেননি। একতা স্টোন ক্রাশারের মালিক আহমদ উল্লাহ তার পাওনা টাকার বিষয়টি গোল্ডেন ট্রেডার্সের মালিক রুহুল আমিনের মধ্যস্থতায় হিসাব নিকাশ করে প্রাপ্য টাকা পাওয়া সাপেক্ষে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা মামলাটি তুলে নিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
জানা গেছে, সিলেটের পাথর ব্যবসায়ী একতা স্টোন ক্রাশারের মালিক আহমদ উল্লাহ গত ১৭ সেপ্টেম্বর যে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন তার জবাব গত ৭ অক্টোবর কুমিল্লার বিশিষ্ট আইনজীবী কাজী আসিফ আহমেদের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিসের জবাব রেজিস্ট্রি ডাকে পাঠানো হয় এবং আইনজীবী মাহফুজুর রহমান ও আহমদ উল্লাহ তা গ্রহণ করেন।
তাছাড়া কুমিল্লার কাগজের প্রতিবেদক অনুসন্ধান করে দেখেছেন, বিশিষ্ট ঠিকাদার মশিউর রহমান চৌধুরী লাভলু স্বশরীরে উপস্থিত থেকে তার ব্যবসায়ীক কাজ কর্ম পরিচালনা করছেন। তার মোবাইল ফোনটিও সচল আছে।
এ প্রতিবেদককে কুমিল্লার বিশিষ্ট ঠিকাদার মশিউর রহমান চৌধুরী লাভলু জানান, তিনি লাপাত্তা কথাটি সঠিক নয়, তিনি নিয়মিত ব্যবসায়িক কাজকর্ম করছেন। আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এবং আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য এ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।