বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক
মন্ত্রী আলহাজ¦ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা
তথাকতিথ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও স্বৈরাচারী সরকারের প্রহসনের রায় বাতিল
করে দেশে আসার পরিবেশ তৈরী করার দাবিতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হিন্দু
সম্প্রদায়ের লোকজন মানববন্ধন করেছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলা সদরের
আল্লাহু চত্বর থেকে কোম্পানীগঞ্জ রোড, থানা রোড, রামচন্দ্রপুর রোড ও হোমনা
রোডসহ প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রিয় নেতাদের
জন্য তাদের আয়োজিত মানববন্ধনটি প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা মনবপ্রাচীরে পরিনত
হয়েছে। অবিলম্বে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির ভাইস
চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আলহাজ¦ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের
বিরুদ্ধে দায়ের করা তথাকতিথ মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের
হুমকি দেয় মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনেরা।
মানববন্ধনে
বক্তব্য রাখেন, দুলাল দেবনাথ, অরুপ নারায়ন পোদ্দার পিংকু, অঞ্জন রায়,
দ্বীন দয়াল পাল, অধ্যাপক নিতানন্দ রায়, গৌরাঙ্গ দেবনাথ, দয়ানন্দ ঠাকুর, রতন
দাস, প্রাঞ্জিত কুমার মজুমদার ও শংকর রায় প্রমুখ।
বক্তারা বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক
মন্ত্রী আলহাজ¦ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা
তথাকতিথ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা
করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট
গ্রেনেড হামলার মামলায় আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দ্বিতীয় বার অধিকতর তদন্ত
করে তারেক রহমান ও কায়কোবাদ দাদাকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও
সাবেক মন্ত্রী আলহাজ¦ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের বিরুদ্ধে কোন
প্রামান ও স্বাক্ষী পাওয়া যায়নি! এরপর আওয়ামীলীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের
প্রহসনের রায়ে তারেক রহমান ও কায়কোবাদকে কারাদন্ড দিয়েছে।
বক্তারা আরো
বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ১৭ বছর ধরে সংগ্রাম
করেছে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি-অঙ্গসংগঠন ও ছাত্র-জনতা। এই সংগ্রামে
বিরামহীনভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ¦ কাজী শাহ
মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ। হাজার মাইল দূরে থেকেও ফ্যাসিস্ট সরকারের
বিরুদ্ধে আন্দোলনে মুরাদনগরের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।