সাবেক
সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)
রবিবার শপথ নেবেন। বেলা দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টে নতুন ইসিকে শপথ পাঠ করাবেন
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এরপর কমিশন আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গিয়ে
দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। এদিকে নতুন ইসিকে বরণ করতে সব প্রস্তুতি গ্রহণ
করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে বৃহস্পতিবার
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ এম এম নাসির উদ্দীনকে নিয়োগ দেন। সেইসঙ্গে
নতুন কমিশনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম
সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম
তহমিদা আহমদ এবং অবসরারপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো.
সানাউল্লাহকে নিয়োগ দেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করা কাজী হাবিবুল আউয়াল
কমিশনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছে নতুন এ কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
(সিইসি) ও অন্য চার কমিশনারকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)
সচিবালয়। ইতোমধ্যে অফিসের সাজসজ্জার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। নতুন কমিশনের
যোগদানের আগে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে নির্বাচন ভবনে।
জানা গেছে,
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের কক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নতুন করে রঙ করা
হয়েছে। সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে
গাড়ি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার কমিশনের বাসা থেকে শপথ
গ্রহণের জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া এবং সেখান থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়
নিয়ে আসার জন্য ইসি সচিবালয়ের পাঁচ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ইসির
পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম জানিয়েছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও
নির্বাচন কমিশনারদের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। দুই দিন ধরে
কমিশনারদের অফিসকক্ষ প্রস্তুত করা হচ্ছে। এসে যেন তারা দায়িত্ব পালন করতে
পারেন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পর ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান
নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেন।
এরপর গত ২৯ অক্টোবর ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে অন্তর্র্বতী সরকার। ২১
নভেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে নাম প্রস্তাব করে সার্চ কমিটি। এরপর রাষ্ট্রপতি
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং ৪ নির্বাচন
কমিশনারকে নিয়োগ দেন।