আমাদের
প্রত্যেকেরই উচিত উত্তম চরিত্র ও আচরণের অধিকারী হওয়ার চেষ্টা করা এবং
সেজন্য আল্লাহর তওফিক ও সাহায্যও প্রার্থনা করা। কারণ শুধু চেষ্টা করলেই
নিজের চরিত্র ও আচরণ উত্তম ও সুন্দর করা যায় না।
আল্লাহর তওফিক ছাড়া উত্তম চরিত্র অর্জনসহ কোনো উত্তম কাজই করা সম্ভব নয়।
আবু
হোরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
প্রশ্ন করা হলো, কোন কাজ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে?
তিনি বললেন, আল্লাহভীতি ও উত্তম চরিত্র। আবার তাকে প্রশ্ন করা হলো, সবচেয়ে
বেশি পরিমাণ মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে কোন কাজ? তিনি বললেন, মুখ ও
লজ্জাস্থান। (অর্থাৎ এ দুটি অঙ্গের গুনাহ) (সুনানে তিরমিজি: ২০০৪)
নবিজি
(সা.) উত্তম ও সুন্দর চরিত্রের অধিকারী মুসলমানদের সর্বোত্তম মুসলমান
গণ্য করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আপনাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে
চরিত্রের দিক দিয়ে উত্তম। (সহিহ বুখারি: ৩৫৫৯, সহিহ মুসলিম: ২৩২১)
আব্দুল্লাহ
ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে উত্তম চরিত্রের ব্যক্তিদের
পছন্দ করার কথা উল্লেখ করে নবিজি (সা.) বলেন, তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি
আমার কাছে খুব প্রিয়, যার চরিত্র ভালো। (সহিহ বুখারি: ৩৭৫৯)
আরেকটি
বর্ণনায় আয়েশা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) বলতে শুনেছি, নিশ্চয়ই মুমিন ব্যক্তি তার ভালো চরিত্রের মাধ্যমে
দিনে রোজা পালনকারী ও রাতে তাহাজ্জুদগুজারীর সমান মর্যাদা লাভ করতে পারে।
(সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৯৮)
নবিজি (সা.) আল্লাহর কাছে উত্তম চরিত্র চেয়ে এভাবে দোয়া করতেন,
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মাহদিনী লিআহসানিল আমালি ওয়া আহসানিল আখলাকি লা ইয়াহদী
লিআহসানিহা ইল্লা আনতা ওয়া কিনী সায়য়্যিয়াল আমালি ওয়া সায়য়্যিয়াল আখলাক্বি
লা ইয়াক্বী সায়য়্যিয়াহা ইল্লা আনতা
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে
পরিচালিত করুন উত্তম কাজ ও উত্তম চরিত্রের পথে। আপনি ছাড়া উত্তম পথে আর কেউ
পরিচালিত করতে পারবে না। আমাকে খারাপ কাজ ও বদ চরিত্র থেকে রক্ষা করুন।
আপনি ছাড়া এর অকল্যাণ থেকে কেউ আমাকে বাঁচাতে পারবে না। (সুনানে নাসাঈ:
৮৯৬)