কুমিল্লার
নবাগত পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেছেন, কুমিল্লাবাসী যেন থানার সামনে
গিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়, বরং থানাকে ভরসার জায়গা মনে করে - সেভাবেই
কুমিল্লা জেলা পুলিশের সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমার কাছে যদি কোন
অভিযোগ আসে সেটা আমি - ব্যবস্থা নিব। আমিও পরিবর্তন দেখতে চাই।
কুমিল্লায়
যোগদান উপলক্ষে সোমবার (২ ডিসেম্বর) পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে
আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ বক্তব্য দেন তিনি।
শহরের
যানজট নিরসনে পদক্ষেপ নেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কুমিল্লা শহরের
ট্রাফিক সিস্টেম নিয়ে আমার কিছু পরিকল্পনা আছে। আমি জেলা ট্রাফিক
ইন্সপেক্টর এর সাথে কথা বলেছি - পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করব। এছাড়া হাইওয়ে
পুলিশের সাথে কথা বলে - হাইওয়ে তো যেন নিরাপত্তা জোরদার করা যায় সে বিষয়ে
ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিষয়ে তিনি বলেন, কুমিল্লা
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা। সম্প্রীতি নিয়ে এ জেলার ঐতিহ্য আছে। সেই
ঐতিহ্য ধরে রাখতে আপনাদের সহায়তা লাগবে। কেউ ধর্মীয় বিদ্বেষ ও উসকানিমূলক
লেখালেখি যাতে না করতে পারে সে বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখবেন। জুলাই বিপ্লব
পরবর্তী নতুন কুমিল্লা গড়তে আমরা বদ্ধপরিকর।
এসময় উপস্থিত সাংবাদিকরা
জানান, জুলাই বিপ্লবে কুমিল্লায় এক হাজারের বেশি অস্ত্রধারী ছাত্রজনতার ওপর
আক্রমণ করেছেন। অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে বিলম্বের কারণে মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিলম্ব
কমিয়ে আনতে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিছু জায়গায় পুলিশ দ্বারা উল্টো ভিকটিমরা
হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এসব বিষয় চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার
অনুরোধ জানান সাংবাদিকরা।
মতবিনিময় সভায় কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
(প্রশাসন) আরাফাতুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার
আশফাকুজ্জামান, হোসেন, কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
মহিনুল ইসলামসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।