প্রথম
ইনিংসে ২০০ রানের কমে অলআউট হয়েও এই প্রথম টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। কিংসটনের
সাবিনা পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬৪ রানে গুটিয়ে
যায় মেহেদি হাসানের দল। এরপর বোলাররা স্বল্প পুঁজি নিয়ে লড়াই করে ১৮ রানের
লিড এনে দেন দলকে। এর আগে ২০১৬ সালে মিরপুরে প্রথম ইনিংসে ২২০ রান করে
ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২২০
রান করে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে ১০৮ রানে।
ইংল্যান্ডকে
বাংলাদেশ হারিয়েছিল ঘরের মাঠে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাল তাদের মাটিতে।
কন্ডিশন, পরিস্থিতি, প্রেক্ষাপট সব কিছুই ছিল আলাদা। প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে
অলআউট হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তারা
করতে পারে ১৮৫ রান। ১০১ রানের আত্মবিশ্বাসী জয়ের পর গোটা দলই বিশ্বাস করছে
বোলিংয়ে এখন বিশ্বের যে কোনো দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবে
বাংলাদেশ।
সেটা শুধু স্পিনে নয়, পেস আক্রমণেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের।
কিংসটন টেস্টের জয়ের নায়ক তাইজুল ইসলাম বলেছেন, “আমাদের যে পেস আক্রমণ ও
স্পিন আক্রমণ এখন আছে, আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই খেলে আসছি এবং সবারই ভালো
অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা অবশ্যই বিশ্বের যেকোনো দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা
করতে পারব। কন্ডিশন আমাদের জন্য কঠিন ছিল। বাইরের কন্ডিশনে এসে ম্যাচ জিততে
পারাটাও দারুণ ব্যাপার। আমাদের জন্য এটা গর্বের ব্যাপার।”
প্রথম ইনিংসে
১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে তাইজুল পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
দুই ইনিংস মিলিয়ে রান করেছেন ৩০। তারচেয়ে বড় বিষয়, তাইজুল ক্রিজে মাটি আকড়ে
পড়ে ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৬৬ বল খেলেছিলেন। উইকেটে ছিলেন ১৩০ মিনিট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ মিনিটে বল খেলেছেন ৫০টি। লোয়ার অর্ডার তার এই দৃঢ়চেতা
ইনিংস ব্যাটিংয়ে কিছুটা মান রেখেছিল।
এর আগে তাইজুল দুইবার টেস্টে
ম্যাচ সেরা হয়েছেন। দুটিই দেশের মাটিতে। এবার দেশের বাইরে নায়ক তিনি। নিজের
অর্জনের চেয়ে তাইজুল খুশি দলগত সাফল্যে, “আমার বোলিং নিয়ে অবশ্যই বলতে
পারেন আমি সন্তুষ্ট। কারণ দলের যখন যেটা চাওয়া ছিল, পূরণ করতে পেরেছি এবং
এই ম্যাচে যখন চতুর্থ ইনিংসে বোলিং করতে এসেছি, আমার ওপর সবার একটা বড়
চাওয়া ছিল। সেটা সফল করতে পেরেছি এবং এটায় ভালো অনুভব করছি।”
সবার
সম্মিলিত প্রচেষ্টা, জয়ের তীব্র ক্ষুধার কারণে ম্যাচ জয় সম্ভব হয়েছে বলে
বিশ্বাস করেন তাইজুল, “অবশ্যই আমাদের বাংলাদেশ দলের জন্য এটা অনেক বড়
পাওয়া। দলের বেশিরভাগই তরুণ। সবার ভালো এক অবদান ছিল এবং সবার মধ্যে ওই
ব্যাপারটা ছিল যে, ম্যাচ জিতব। সবাই যে চেষ্টা করেছে, এটা অসাধারণ ও
অতুলনীয়।”