আগামী
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা সদর আসন থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর
প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা জানিয়েছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয়
কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
এছাড়াও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মহানগর জামায়াতের
নায়েবে আমীর মো. মোসলেহ উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে
কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল ও বর্তমান নায়েবে
আমীর অধ্যাপক একেএম এমদাদুল হক মামুন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে মহানগর
জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন সবুজ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন
বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে অধ্যাপক এমদাদুল হক মামুন সদর উপজেলা
চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ৬ ডিসেম্বর কুমিল্লায়
জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন সামনে রেখে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) কুমিল্লা
টাউন হল মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সদর উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন অধ্যাপক এমদাদুল হক
মামুন। পরে সাংবাদিক সম্মেলন শেষে মহানগরী জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন
মোহাম্মদের কাছে জানতে চাইলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনিও
প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা জানান।
বুধবারের সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে
গিয়ে এমদাদুল হক মামুন বলেন, যদিও এটি আমাদের কেন্দ্রীয় আমীর মহোদয়ের আগমন
ও কর্মী সম্মেলন বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন- তারপরও আপনাদের দোয়া ও সমর্থনের
প্রত্যাশায় জানাতে চাই, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে
আমি সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। এ জন্য
সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশী। এমদাদুল হক মামুন এর আগে সদর উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউব ওয়েল প্রতীকে প্রার্থী হয়েছিলেন।
এদিকে
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে মহানগর
জামায়াতের আমী কাজী দ্বীন মোহাম্মদেও কাছে জানতে চাওয়া হয়- দীর্ঘ ১৯ বছর
কুমিল্লায় আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন, কেন্দ্রীয় আমীরের
আগমন এবং আপনাদের ব্যাপক প্রস্তুতি; সব কিছু আপনাদের প্রাক নির্বাচনী
প্রস্তুতি কী-না? বিষয়টি একরকম স্বীকার করে নিয়ে দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, আমি
এখানে সব কিছু বললাম না। আমাদের পিছনে সবকিছুর মূল হচ্ছে মহান আল্লাহ পাকের
সন্তুষ্টি। আমরা যে সম্মেলনের আয়োজন করেছি, সেটাও আল্লাহতায়ালার
সন্তুষ্টি। এরই মধ্যে আমাদের দেশ গঠন, নির্বাচন এ প্রসঙ্গটা সময়ের
পরিক্রমায় আসবে। এখন এটা আপনারা যে যেভাবে মূল্যায়ন করেন। আমাদের মূল
উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের কর্মী ভাইদের মাধ্যমে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার
লক্ষ্য।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা মহানগর
জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন সবুজ বলেন, নির্বাচনে কে
প্রার্থী হবেন- এ বিষয়ে সংগঠন সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যক্তি ইচ্ছায় কিছু হয় না।
সংগঠনের নিয়মনীতি আছে, ইন্টার্নাল ভোটে সবকিছু নির্ধারিত হয়। সংগঠন চাচ্ছে,
আমি সবুজ সংকেত পেয়েছি। সেভাবেই মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছি।
প্রসঙ্গত,
দীর্ঘ ১৯ বছর পর আগামী ৬ ডিসেম্বর জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত
হবে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কর্মী সম্মেলন। এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর
রহমান।দীর্ঘ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে সাজ সাজ রব
বিরাজ করছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে। এর মধ্যে কর্মী
সম্মেলনের বেশ কিছু প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে। নগরীর প্রাণ কেন্দ্র
টাউন হল মাঠে সাজানো হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। এছাড়াও নারী সমর্থকদের জন্য
আলাদাভাবে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে প্যান্ডেল ও এলইডি স্থাপন করা
হয়েছে। জামায়াতের কুমিল্লা মহানগরী জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বলছেন, জনমানুষের
উপস্থিতিতে কর্মী সম্মেলনটি বিশাল জনসভায় রূপ নিবে।