প্রিমিয়ার
লিগে পয়েন্ট তালিকায় ছিল শীর্ষে। সেখান থেকে টানা চার ম্যাচ হেরে একদম
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটির। অবশেষে জয়ের স্বাদ পেল
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। নটিংহ্যাম ফরেস্টকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে পেপ
গার্দিওলার দল।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ঘরের মাঠে শুরুতে সিটিকে এগিয়ে নেন
বার্নার্দো সিলভা। এরপর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেভিন ডি ব্রুইনে।
প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে থাকা সিটি দ্বিতীয়ার্ধেও পাল্টা আক্রমণে গোল
আদায় করে নেয়। সিটির জয় নিশ্চিত করেন জেরেমি ডোকু।
সাউথ্যাম্পটনের
বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের পর প্রিমিয়ার লিগে একে একে বোর্নমাউথ, ব্রাইটন
অ্যান্ড হোভ অ্যালবিওন, টটেনহ্যাম হটস্পার ও লিভারপুলের বিপক্ষে হারে সিটি।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে জয়শূন্য থাকে টানা সাত ম্যাচে! অবশেষে দেখা দিলো
জয়।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে সিটি। তাতে ষষ্ঠ মিনিটে
প্রথম সুযোগ পায় তারা। তবে আরালিং হালান্ডের শট ঠেকিয়ে দেন ফরেস্ট
গোলরক্ষক। সিটি এগিয়ে যায় অষ্টম মিনিটে। বাইলাইন থেকে ইলকাই গিন্দোয়ানের
ক্রসে ডি ব্রুইনের হেড আলতো টোকায় দিক পাল্টে বল জালে জড়ান সিলভা।
সিটি
ষোড়শ মিনিটেই গোল হজম করতে পারতো। তবে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে মর্গ্যান
গিবস-হোয়াইটের বুলেট গতির শট রুখে দেন স্টেফান ওর্টেগা। সিটি ব্যবধান
দ্বিগুণ করে ৩১তম মিনিটে। ডোকুর পাসে একটু এগিয়ে জোরাল শটে জাল খুঁজে নেন
ডি ব্রুইনে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণাত্মক ফুটবলে সিটিকে চেপে ধরার
চেষ্টা করে ফরেস্ট। তবে সিটির রক্ষণের সঙ্গে পেরে ওঠেনি। বিপরীতে পাল্টা
আক্রমণে ৫৭তম মিনিটে সিটির হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন ডোকু। হালান্ডের বাড়ানো বল
ধরে জাল খুঁজে নেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার।
এই জয়ে ১৪ ম্যাচে আট জয় ও দুই
ড্রয়ে সিটির পয়েন্ট হলো ২৬। তারা আছে পয়েন্ট টেবিলের চারে। ২৮ পয়েন্ট নিয়ে
তিনে আছে আর্সেনাল। আরেক ম্যাচে সাউথ্যাম্পটনকে ৫-১ গোলে হারানো চেলসি ২৮
পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে দুইয়ে আছে। ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লিভারপুল।