টার্গেট মাত্র ১০১
রান। কিন্তু সেই লক্ষ্য পার করতেও বড় একটা পরীক্ষা দিতে হলো অস্ট্রেলিয়াকে।
ভারতের মেয়েদের ছোট টার্গেট পার করতে অস্ট্রেলিয়ার নারীরা সময় বেশি না
নিলেও উইকেট খুইয়েছে ৫টি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ১৭ ওভারেই ৫ উইকেটের ব্যবধানে
জয় তুলে নেয় স্বাগতিক মেয়েরা।
ওপেনিং জুটিতেই অস্ট্রেলিয়া দারুণ সূচনা
পেলেও এক ওভারে দু’টি উইকেট নিয়ে রেণুকা ঠাকুর একসময় ম্যাচ জমানোর আভাস
দিয়ে ফেলেন। তা থেকে অবশ্য বড় কিছু আদায় করতে পারেনি ভারত। নিজেদের ব্যাটিং
ব্যার্থতায় কপাল পুড়েছে তাদের।
অভিষেক হওয়া জর্জিয়া ভল ৪৬ রানে
অপরাজিত থেকে জিতিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়াকে। ওপেন করতে নেমে তাকে ভালোই সঙ্গ
দিয়েছেন ফিবি লিচফিল্ডও (৩৫)। ওপেনিং জুটিতে ৪৮ রানই অস্ট্রেলিয়াকে চালকের
আসনে বসিয়ে দেয়।
ডেবিউ ওডিআইতে ওপেনিংয়ে নেমে মাত্র ৪ রানের জন্য
হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছে ভলের। ১৬.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান তুলে
ফেলে অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্কোর গড়ে মাত্র
১০০ রানেই অলআউট হয় হারমানপ্রীত কৌরের ভারত। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার নারী
দলের বিপক্ষে ৭৯ রানে অলআউটের পর থেকে এটিই ভারতের নারী দলের জন্য ওয়ানডে
ফরম্যাটে সর্বনিম্ন স্কোর।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা হয়
স্মৃতি মান্ধানার উইকেটের মাধ্যমে। মেগান শ্যুটের বলে বেথ মুনিকে ক্যাচ
দিয়ে ফিরে যান ভারতের অন্যতম সেরা ব্যাটার। প্রিয়া পুনিয়া শুরু থেকেই
ধুকছিলেন। তবে হারলিন দেওলের ব্যাট থেকে আসছিল রান। প্রিয়াকে ফেরান শ্যুট।
আর ১৯ রানেই হারলিনের ইনিংসকে থামিয়ে দেন অ্যাশলে গার্ডনার। অধিনায়ক
হারমানপ্রীত কৌর এবং জেমিমাহ রদ্রিগেজ দুজনের ব্যাটে ভর করে বড় স্কোরের
স্বপ্ন দেখছিল ভারত।
ব্যক্তিগত ১৭ রানে হারমানপ্রীত এবং ২৩ রান করে
জেমিমাহ ফিরে গেলে ভারতের ইনিংস পুরোপুরি ধসে পড়ে। ৮৯ রানে ৪ উইকেট থেকে
১০০ রানেই অলআউট হয় ভারত। ১১ রানের ব্যবধানে তারা হারায় ৬ উইকেট। ঠিক ঠিক
১০০ রানের মাথায় আউট হন তিন ব্যাটার। এমনকি শেষ তিন ওভারে কোনো রানই
স্কোরবোর্ডে তুলতে পারেনি ভারত।
সবমিলিয়ে ভারত খেলেছে ৩৪ ওভারের বেশি।
স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে মোটে ১০০ রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মেগান শ্যুট একাই
নেন ৫ উইকেট। খরচা করেছেন মোটে ২০ রান। একটি করে উইকেট পেয়েছেন অ্যাশলে
গার্ডনার, কিম গ্রাম, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড এবং অ্যালানা কিং।