চৌদ্দগ্রাম
প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সিংরাইশ রহমানিয়া বালিকা আলিম মাদরাসার
অধ্যক্ষ আ.ন.ম মোখলেছুর রহমান নোমানের বিরুদ্ধে ২০২৫ সালের দাখিল
পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা আদায়ের
অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাধারন বিভাগে সরকার নির্ধারিত ফি ২০৫০ টাকা হলেও কোন
শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই তা মানা হয়নি। পরীক্ষার্থীদের থেকে গড়ে ৩ হাজার ৫’শ
টাকা আদায় করা হয়েছে। এমনকি একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্যতার অভিযোগে ৪-৫ হাজার
টাকা হারেও আদায় করা হয়েছে ।
একাধিক পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, পারিবারিক
অক্ষমতায় মাদরাসা অধ্যক্ষ বরাবর ফি কমানোর আবেদন করলেও কোনভাবেই ফি কমানো
হয়নি। শিক্ষার্থীদের ধমক দিয়ে বলা হয়েছে, মাদরাসা কত টাকা করে নিচ্ছে তা
বাইরের কেউ যেন না জানে।
মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, আসন্ন দাখিল
পরিক্ষায় ৩৫ জন পরিক্ষার্থী অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে ফরম পুরণ করছে। এদের
মধ্যে টেষ্ট পরিক্ষায় সকল বিষয়ে কৃতকার্য হয়েছে ১১ জন পরিক্ষার্থী।
নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিক্ষার্থী এবং অভিভাবক জানান, উপজেলার
মুন্সিরহাট ইউনিয়নের যাত্রাপুরের এক পরিক্ষার্থীর নিকট থেকে ৪ হাজার ৫’শ
টাকা আদায় করা হয়েছে।
পাশ^বর্তী নাঙ্গলকোট উপজেলার আরেক পরিক্ষার্থী
জানান, সে সকল বিষয়ে কৃতকার্য হলেও তার নিকট থেকে ৩ হাজার ৫’শ টাকা আদায়
করা হয়েছে। এ সময় তাকে মাদরাসা থেকে বলা হয়েছে অকৃতকার্য পরিক্ষার্থীদের
যাতে বলে তার থেকে ৪ হাজার ৫’শ টাকা আদায় করা হয়েছে।
মাদরাসার
কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল হালিম বলেন, অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের থেকে
জরিমানা হিসেবে ১ হাজার টাকা বাড়তি আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া অতিরিক্ত টাকা
আদায়ের বিষয়ে তিনি জানেন না।
সিংরাইশ রহমানিয়া বালিকা আলিম মাদরাসার
অধ্যক্ষ আ.ন.ম মোখলেছুর রহমান নোমান বলেন, বোর্ড নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত
অনলাইন বাবদ ৩’শ-৪’শ টাকা বাড়তি নেয়া হচ্ছে। এর বাইরে টাকা নেয়া হচ্ছে কিনা
তা মাদরাসায় কথা বলে জানতে পারবো।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা
অফিসার কে.এম. মীর হোসেন বলেন, বোর্ড নির্ধারিত ফি’র বাইরে টাকা আদায়ের
নিয়ম নেই। আমি আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত স্বাপেক্ষে
দ্রুতই পদক্ষেপ নেয়া হবে।