দাউদকান্দির
বরকোটা স্কুল এন্ড কলেজকে সন্ত্রাস, অনিয়ম, দুর্নীতি ও দালালমুক্ত করার
দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১০ টায়
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আমিরাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কয়েক শতাধিক
শিক্ষার্থী ব্যানার হাতে সড়কে বসে এ আন্দোলন করেন।
এসময় মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে প্রায় তিন কিলোমিটার এবং গৌরীপুর- কচুয়া সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সংবাদ
পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন এবং
সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদের দাবিদাবা
শোনেন। পরে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্থ করা হলে দেড় ঘন্টা পর শিক্ষার্থীরা সড়ক
থেকে অবরোধ তুলে নেয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের
পতনের পর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রুহুল আমিন কলেজের অফিস
সহকারী মো. আদিলকে পিটিয়ে আহত করেন। এ ছাড়া কলেজে নির্মিত পাঠাগারটি ভেঙে
ফেলেন। কলেজের অফিস কক্ষে লুটপাট করে এবংপাঠাগারে থাকা কয়েক হাজার বই লুট
করে নিয়ে যান। এখন ওই নেতা কলেজের সভাপতি হতে চান। এনিয়ে কলেজের বিভিন্ন
শিক্ষার্থীদের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।
কলেজ ক্যাম্পাসকে সন্ত্রাস, অনিয়ম, দুর্নীতি ও দালাল মুক্ত করার দাবীতে আমরা সড়কে নেমেছি।
বিক্ষোভকারীদের
মধ্যে কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাব্বির আহাম্মেদন শুভ ও জুবায়ের বলেন,
যুবদল নেতা রুহুল আমিন কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়। বিভিন্ন অনিয়ম
করে। তাকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
কলেজের একাদশ শ্রেনীর
শিক্ষার্থী জিহাদ ভূঁইয়া, ফয়সাল ও মিনহাজ বলেন, আমরা সন্ত্রাস মুক্ত
শিক্ষাঙ্গন চাই। আমরা লেখাপড়ার সুন্দর পরিবেশ চাই।
দাউদকান্দি মডেল
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জুনায়েত চৌধুরী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে
কথা বলেছি। আমরা তাদেরকে আস্বস্থ করেছি। কলেজে কোন ধরনের সন্ত্রাসী
কর্মকান্ড চলতে দেয়া হবেনা। পরে তারা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।
দাউদকান্দি
উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রুহুর আমিন বলেন, আমার সম্মান
নষ্ট করার লক্ষ্যে চক্রান্ত করা হয়েছে। আমি স্কুলের সভাপতি প্রার্থী হয়েছি
এটাই আমার অপরাধ। আমি যাতে সভাপতি না হতে পারি এজন্য আমার বিরুদ্ধে
চক্রান্ত চলছে।
উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ শাহ আলম বলেন, রুহুল আমিনের
বিষয়ে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা, বিষয়টি আমি শুনেছি। দলীয় ফোরামে আলোচনা
এবং সাংগঠনিকভাবে তদন্ত করা হবে। রুহুল আমি দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে
সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
নাঈমা ইসলাম বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে।
আমরা তাদেরকে আশ্বস্থ করেছি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। রুহুল আমিন নামের
এক বিএনপি নেতার নাম এসেছে। আমরা এ ব্যাপারে বিএনপির স্থানীয় সিনিয়র
নেতাদের অবহিত করবো। ওই ব্যক্তির নামে উঠা অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা
গ্রহন করা হবে।