বসুন্ধরা কিংস-মোহামেডান
ম্যাচ মানেই ভিন্ন আবহ। আজ (শুক্রবার) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের
ম্যাচও ব্যতিক্রম ছিল না। পেনাল্টি মিস ও একটি লাল কার্ডের ম্যাচে
মোহামেডান শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে কিংসকে হারিয়েছে।
সপ্তাহ দুয়েক আগে
কিংস অ্যারেনায় মোহামেডান চ্যালেঞ্জ কাপে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত হেরেছিল।
ওই ম্যাচে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে আলোচনায় ছিল কিংসের সমর্থকদের মাঠে রং ছোড়ার
বিষয়টি। মোহামেডান সেই হারের প্রতিশোধ নিয়েছে আজ কুমিল্লায়, ‘খেলোয়াড়দের
মধ্যে প্রতিশোধ নেওয়ার একটা নেশা ছিল। সেই নেশাতেই দশ জন নিয়েও মোহামেডান
জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে’, ম্যাচ শেষে বলেন কোচ আলফাজ আহমেদ।
ম্যাচের ২১
মিনিটে মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন হোসেন লাল কার্ড দেখেন। ৭০ মিনিটের বেশি
সময় দশ জন নিয়ে কিংসের বিপক্ষে খেলা অনেক কষ্টসাধ্য। দশ জন নিয়ে খেলার কৌশল
নিয়ে আলফাজ বলেন, ‘গোলরক্ষক লাল কার্ড পাওয়ায় আমাদের ফরোয়ার্ড আরিফকে
বাধ্য হয়ে উঠিয়ে ফেলতে হয়। ডিফেন্সের গঠন ঠিক রেখে আমরা আক্রমণ অব্যাহত
রাখি। সুলেমান (দিয়াবাতে) অত্যন্ত ভালো মানের খেলোয়াড়। সে যে সুযোগ পেয়েছে
সেটা গোল হওয়াই স্বাভাবিক।’
মোহামেডানের কিংসের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও
হারের ঘটনা রয়েছে অনেক। আজ দশজন নিয়েও এক গোল ধরে রাখা প্রসঙ্গে আলফাজ
বলেন, ‘আমরা ভালোও খেলেছি, পাশাপাশি দিনটি মোহামেডানের ছিল। ফুটবলে ভালো
খেলার পাশাপাশি পরিস্থিতি ও আনুষঙ্গিক কিছু বিষয় জড়িত। সেটা আমাদের অনুকূলে
ছিল।’
দশ জনের মোহামেডানের ওপর দিয়ে কম ঝড় যায়নি। কিংসের সামনে প্রাচীর
হয়ে ছিলেন বদলি গোলরক্ষক সাকিব আল হাসান। মোহামেডানের গোলরক্ষক কোচ ছাইদ
হাসান কানন সাকিবের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখেছিলেন, ‘সাকিব ভালো গোলরক্ষক। তাকে
আমরা গত তিন বছর তৈরি করেছি। সে আস্থার পূর্ণ প্রতিদান দিয়েছে।’
কিংসকে
হারিয়ে মোহামেডান প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। তবে প্রথম স্থান
বজায় রাখা অনেক কঠিন বলে স্মরণ করিয়ে দেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আলফাজ,
‘মাত্র লিগের দুই রাউন্ড শেষ। এখনও অনেক পথ বাকি। গত লিগেও কিংসকে
হারিয়েছি তাদের মাঠে, এবার আমাদের মাঠে হারালাম। মোহামেডান কিংসকে হারাতে
পারে এটা এখন প্রতিষ্ঠিত।’
২০১৮ সালে বসুন্ধরা কিংস ঘরোয়া ফুটবলের শীর্ষ
স্তরে আসার পর শিরোপা দ্বৈরথ ছিল ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে। ঢাকা আবাহনীর চেয়ে
মোহামেডানই কিংসকে বেশি পরাজিত করেছে লিগ-টুর্নামেন্ট মিলিয়ে।