বাগৈগ্রাম। এখানে একটি টিউবওয়েলের পানি বৌদ্ধ ও মুসলিমরা ব্যবহার করেন। প্রাচীনকাল থেকেই এখানে সম্প্রীতি বিরাজ করছে। ভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝে কোন ঝগড়া-ফাসাদ নেই। এসব কথা বলেছেন চিরত্মসরল বৌদ্ধ বিহারের সাধারণ সম্পাদক শৈবাল কুমার সিংহ। একই সম্প্রীতির কথা বলেছেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্রী প্রমোদ রঞ্জন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, আমরা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বা বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের এখানে সংখ্যাগুরু মুসলিমরা আমাদেরকে কোন প্রকার নির্যাতন করছে না। তারা আমাদেরকে সংখ্যালঘু নয়, প্রতিবেশি হিসেবে দেখে। মুসলিমরা ৫ আগষ্টের পরে আগের যে কোন সময়ে চেয়ে বেশি সম্প্রীতি দেখাচ্ছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি ডাঃ তাহের ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ কামরুল হুদার নির্দেশে উভয় দলের নেতাকর্মীরা আমাদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখছে। এছাড়া উপজেলা ও থানা প্রশাসন সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার বিষয়টি তদারকি করছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় একটি রাজ্যের টেলিভিশন খুললেই দেখা যাচ্ছে-বাংলাদেশে সনাতনী ধর্মের মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে। এমন তথ্য সঠিক নয়। ভারতের ওই রাজ্যে মুসলিম সংখ্যা বেশি হওয়ায় বিজিপি ভোট কম পায়, তাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে বাংলাদেশ নিয়ে ওই টেলিভিশনটি গুজব ছড়াচ্ছে। চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের উদ্যোগে বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় শ্রী প্রমোদ রঞ্জন চক্রবর্তী ও শৈবাল কুমার সিংহের এমন বক্তব্যে ‘সম্প্রীতির চৌদ্দগ্রাম’ এর চিত্র ফুটে উঠেছে। তারা আরও দাবি করেন, অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও ‘সম্প্রীতির চৌদ্দগ্রাম’ বাংলাদেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বৃহস্পতিবার রাতে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আক্তার উজ জামানের সভাপতিত্বে ও পরিদর্শক(তদন্ত) মোঃ আবদুল্লাহ’র পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাহফুজুর রহমান, পৌর বিএনপির আহবায়ক হারুন অর রশিদ মজুমদার, চৌদ্দগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসাইন, ওলামা বিভাগের মাওলানা মফিজুর রহমান, খতিব পরিষদ শানে সাবা’র নেতা নেজাম উদ্দিন, ছাত্রনেতা মোঃ মামুন, লতিফ শিকদার নগর শরীফের সৈয়দ আহমুদুল হাসান, বৌদ্ধ বিহারের নেতা জীবন বড়ুয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মোঃ বেলাল হোসাইন, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা নান্টু দেবনাথ, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, পৌর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সেক্রেটারী মোশারফ হোসেন ওপেল, পৌর যুবদলের আহবায়ক মোঃ হাসান, সাংবাদিক মোঃ আক্তারুজ্জামান, আবু বকর সুজন, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ এমদাদ উল্যাহ, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আহসান উল্লাহ, কার্যকারি সদস্য মোঃ আনিছুর রহমানসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতৃবৃন্দ।