যে
উদ্দেশ্যে জুলাই অভুথ্যান হয়েছে, আমরা যেন সে লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য থেকে
দুরে সরে না যাই।আওয়ামীলীগের সাথে কোন দল যদি আতাত করতে চায়,তাদেরকেও
আওয়ামীলীগের পরিনতি ভোগ করতে হবে।তাই সকলকে দালালী পরিহার করে,দেশের জন্য
কাজ করতে হবে।
গতকাল শনিবার বিকাল ৪টায় লাকসাম পাইলট স্কুল মাঠে
অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জুলাই বিপ্লবের
বীর সেনানীগণ লাকসাম -মনোহরগঞ্জে আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন বৈষম্য বিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত আবদুল্লাহ।
এসময় বাঙ্গালি জাতি যখনি কোন
ক্রান্তিলগ্নে গিয়ে দাঁড়ায়,তখনি ছাত্র সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের জবাব দিয়ে
আসছে।জুলাই বিপ্লবের ছাত্রদের ত্যাগের বিনিময় হিসাবে আমাদের সকলকে শিক্ষা ও
সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে,রাষ্ট্র সংস্কার ছাড়া কোন নির্বাচন নয়।পাশাপাশি
আগামী দিনে কোন সরকার যেন ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে না
পারে। ছাত্র সমাজকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন-
কুমিল্লার ছেলেরা মার খেয়ে বসে থাকতে জানেনা।আন্দোলনের সময় কুমিল্লার
ছাত্রদের সাহসিকতা আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলো।তাই কুমিল্লাবাসী
প্রত্যাশা কুমিল্লা নামেই বিভাগ ঘোষণা করা হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র
আন্দোলন কুমিল্লা জেলার সমন্বয়ক সাকিব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ
সোহেল,কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য তরিকুল ইসলাম, নুসরাত তাবাসসুম, রিফাত
রশিদ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান, সিনথিয়া, কুমিল্লা
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট
মুহাম্মদ বদিউল আলম সুজন, লাকসাম উপজেলা জামায়াতের আমির হাফেজ জহিরুল
ইসলাম, লাকসাম পৌরসভা জামায়াতের আমির জয়নাল আবেদিন পাটোয়ারী, ইসলামি
আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সদস্য সেলিম মাহমুদ, লাকসাম পৌরসভা বিএনপির
সাধারণ সম্পাদক বেলালুর রহমান প্রমুখ।পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন-২০২৪
শহীদ পরিবারের সদস্য ও সমন্বয়কদের হাতে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।