দ্বিতীয়
মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নিলেন সুমন রেজা। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টিতে ব্যর্থ
হলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মিগেল ফিগেইরা দামাশেনো। সেরা সুযোগ নষ্ট হওয়ার
মাশুলই শেষ পর্যন্ত গুণতে হয়েছে লিগের শিরোপাধারীদের। তাতে প্রথমবারের মতো
তাদের বিপক্ষে জয়ের আনন্দ সঙ্গী হয়েছে আবাহনীর।
কুমিল্লার শহীদ
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শুক্রবার কিংসের বিপক্ষে আবাহনীর জয়টি ১-০
গোলের। এই জয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে হারের ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দেওয়ার
পাশাপাশি এক লাফে লিগে টেবিলে দ্বিতীয় স্থানেও উঠে এসেছে আকাশি-নীল
জার্সিধারীরা। ৪ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট তাদের। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে
মোহামেডান।
কিংসকে চমকে দিয়ে দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়ে যায় আবাহনী। বাম দিক
থেকে শাহরিয়ার ইমনের বাড়ানো ক্রসে ছুটতে থাকা অবস্থায় হেডে জাল খুঁজে নেন
সুমন। নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল বলেই হয়ত বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতলেন
না এই ফরোয়ার্ড। দুই হাত ডানা মেলে সাদামাটাভাবে সারলেন উদযাপন।
৩৩
মিনিটে ভালো সুযোগ পায় কিংস। দামাশেনোর পাস ধরে বক্সে ঢুকে গোলকিপার
মিতুলকে একা পেয়ে যান জোনাথন ফের্নান্দেস, কিন্তু তার শট যায় বাইরে। তিন
মিনিট পর দামাশেনোর শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে আটকান মিতুল।
সমতার সেরা সুযোগ
কিংস পায় ৫৩তম মিনিটে, কিন্তু দামাশেনোর স্পট কিক নিজের বাম দিকে ঝাঁপিয়ে
অগ্নিপরীক্ষায় ‘পাস’ মিতুল। বক্সে মোহাম্মদ হৃদয় বল ক্লিয়ার করতে দেরি করে
ফেলেন; তখন কিংসের রাকিব হোসেন দ্রুত চার্জ করায় খেই হারান হৃদয়, বল লাগে
তার হাতে, রেফারিও বাজান পেনাল্টির বাঁশি।
শেষ দিকে সমতাসূচক গোলের জন্য
মরিয়া হয়ে ওঠে কিংস, কিন্তু পোস্টের নিচে মিতুল ছিলেন বিশ্বস্ত দেয়াল হয়ে।
৮৫তম মিনিটে মজিবুর রহমান জনির শট আটকে আবাহনীকে স্মরণীয় এক জয়ের পথে
রাখেন ২১ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।
চলতি লিগে এ নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ হারল
কিংস। এর আগে মোহামেডানের কাছে হেরেছিল শিরোধারীরা। চার ম্যাচে ৬ পয়েন্ট
নিয়ে টেবিলে চতুর্থ স্থানে আছে তারা।