নিজস্ব
প্রতিবেদক: তিনি একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামীলীগ আমলে ছিলেন আওয়ামীলীগ
দ্বারাই নির্ঘাতিত, দেওয়া হয়েছিলো হত্যা মামলাও। ছিলেন আওয়ামীলীগের
ভাগদৌড়ের শিকার। ৬/৭ বছর ছিলেন এলাকা ছাড়া। গণআন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকারের
পতনের পর রবিবার ফিরেছিলেন নিজ এলাকায়। স্থানীয় বিক্ষুব্দ লোকজন তাকে জুতার
মালা পরিয়ে তাকে এলাকা ছাড়া করেন। যদিও এই তিনিই আওয়ামীলীগ আমলে জামায়াত
সমর্থক এক শিল্পপতিকে খাবার টেবিল থেকে তুলে এলাকা ছাড়া করেছিলেন।
সোশ্যাল
মিডিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পড়ানোর ঘটনা
ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে, চলছে তোলপাড়। উঠেছে নিন্দার ঝড়ও।
ঘটনা
শনিবার দুপুরের। ঘটনাস্থল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলিয়ারা সরকারী
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে। স্কুলের কাছেই তার বাড়ি পাতড্ডা বাজারে। তিনি
ছিলেন উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি। আওয়ামীলী ক্ষমতায় থাকার প্রথমদিকে
শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে ছিল তার ভালো সম্পর্ক- সেসময় এলাকায় প্রভাব বিস্তার
করেন। কিন্তু পরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে খারাপ সম্পর্কের
কারনে এলাকার থাকতে পারেন নি। হত্যা মামলায় আসামীও হয়েছেন। কিন্তু আজীবন
করেছেন আওয়ামীলীগ, দলটির জন্য ছিলেন নিবেদিত। একবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার জন্য তার গাড়ির সামনে ঝাঁপ দিয়ে আলোচিত
হয়েছিলেন।
স্থানীয় সুত্র জানায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু ২০১৬
সালে জামায়াত সমর্থিত নেতা শিল্পপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া নঈমকে
দুর্গাপুরের এক অনুষ্ঠান থেকে উঠিয়ে দেন এবং পরে তাকে এলাকা ছাড়া করেন। এ
ছাড়াও লুধিয়ারা, কুলিয়ারা, পাতড্ডা, শনপুর গ্রামের অনেকেই তার দ্বারা
নির্যাতিত হন।
রবিবার স্থানীয় জামায়াত সমর্থক আবুল হাসেমসহ কয়েকজনের
নেতৃত্বে তাকে জুতার মালা পড়িয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয় বলে স্থানীয়রা
জানায়।
রবিবার রাতে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, রাতে ফেসবুকে আমি এ ধরনের
একটি ভিডিও ক্লিপ দেখেছি। এখনো পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি
গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।