ইংলিশ
প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর
বাংলাদেশ দলে খেলার অনুমতি পাওয়ার পর লাল-সবুজ জার্সির আকর্ষণ বেড়েছে অনেক
প্রবাসী তরুণের।
গত কয়েকদিনেই বেশ কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলারের বায়োডাটা ও
খেলার ভিডিও এসেছে বাফুফেতে। বাফুফের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সবার বায়োডাটা ও
ভিডিও দেখছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের বায়োডাটা আলাদা করে রাখা হয়েছে
সম্ভাব্য তালিকা করে।
জামাল ভূঁইয়া ও তারিক কাজী যখন লাল-সবুজ জার্সিতে
দাপটের সঙ্গে খেলছিলেন তখনো এভাবে বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশি ফুটবলার
বাফুফেকে মেইল পাঠিয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। বাফুফে কয়েকজনকে এনে
পরখও করেছিলেন। কানাডা প্রবাসী রাহবাবকে এক ম্যাচ খেলিয়েও ছিলেন কোচ
হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা।
ফিফা থেকে হামজার ছাড়পত্র আসার পর বাফুফে সভাপতি
তাবিথ আউয়াল গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, তারা আরো প্রবাসী ফুটবলার সার্চ করবেন
এবং কিছু খেলোয়াড়ের তালিকা তাদের হাতেও আছে।
বাফুফের সদস্য ও টেকনিক্যাল
কমিটির চেয়ারম্যান কামরুল হাসান হিলটন বুধবার সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে বলেন,
‘সাধারণ সম্পাদকের কাছে বেশ কয়েজন প্রবাসী ফুটবলার খেলার আগ্রহ প্রকাশ করে
মেইল করেছেন। সভাপতির কাছেও আছে কয়েজনের আবেদন। জাতীয় দলের খেলোয়াড়
অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি ন্যাশনাল টিমস কমিটির হাতে। আর এই কমিটির চেয়ারম্যান
সভাপতি। প্রবাসী ফুটবলারদের আবেদনগুলো সভাপতির নেতৃত্বাধীন কমিটিই দেখবেন।’
আবেদন
করা প্রবাসীদের মধ্যে একজন জায়ান আহমেদ। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই
ফুটবলারের বায়োডাটা দেখে বাফুফে কিছুটা আগ্রহী বলে জানা গেছে। যে কারণে
বাফুফের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর জায়ান আহমেদের সাক্ষাৎকার নেবেন।
এই
প্রবাসী ফুটবলার কয়েকদিন আগে দেশে এসেছেন। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফিরে
যাওয়ার কথা। এরই মধ্যে জায়ান দেখা করবেন বাফুফে কর্মকর্তাদের সঙ্গে। জায়ান
আহমেদের বাবা শরিফ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘দুই একদিনের মধ্যেই আমরা দেখা
করবো বাফুফের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যানের (সাইফুল বারী টিটু) সাথে।
তারপরই জানাতে পারবো জায়ানের বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার প্রক্রিয়া শুরু হবে
কিনা।’