অভিষেক টেস্টের
প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে দারুণ কারিশমা দেখিয়েছেন স্যাম কনস্টাস। প্রথম
কয়েক ওভার একটু নড়বড়ে থাকলেও এরপর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। মাত্র ৫২ বলে
ফিফটি করেন। এরপর ৬৫ বলে ৬টি চার ও ২ ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস খেলেন।
কনস্টাস
সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করেন বুমরাহকে। তাকে মোকাবিলা করার সময় ৩৩ বলে ৩৪ রান
তোলেন চারটি চার ও দুই ছক্কায়। আর মোহাম্মদ সিরাজের ১৯ বল মোকাবিলা করে ২
চারে তোলেন ২০ রান।
কনস্টাস যখন স্কুপ, রিভার্স-স্কুপে ঝড়ের গতিতে রান
তুলছিলেন তখন ভারতের ফিল্ডারদের বেশ অসহায় মনে হচ্ছিল। এমন সময় বিরাট কোহলি
কাঁধ দিয়ে ধাক্কা দেন কনস্টাসকে। তখন কোহলি ও কনস্টাসের মধ্যে কথা
কাটাকাটি হয়। উসমান খাজা ও আম্পায়ার এসে তাদের সরিয়ে নেন।
তবে ধারাভাষ্য
কক্ষ থেকে বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে দেখেছেন রিকি পন্টিং। তিনি দাবি করেছেন
এই ঘটনায় কোহলির মতো একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের দায় বেশি। ম্যাচ রেফারি ও
আম্পায়ারদের এখানে বেশ কিছু বলার আছে। তারা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন
নিশ্চয়ই।
ম্যাচ রেফারি যদি সত্যি সত্যিই কোহলির বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখেন
তাহলে তিন থেকে চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেতে পারেন। এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ
হতে পারেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। সেক্ষেত্রে পঞ্চম টেস্টে খেলতে পারবেন না
তিনি।
আইসিসির আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, ‘‘যেকোনো ধরনের অযথাযথ শারীরিক
সংঘর্ষ ক্রিকেটে নিষিদ্ধ। এক্ষেত্রে কোনো খেলোয়াড় যদি ইচ্ছাকৃতভাবে,
বেপরোয়াভাবে, অবজ্ঞা করে হাঁটে কিংবা দৌড়ে যায় এবং কোনো খেলোয়াড় কিংবা
আম্পায়ারের সঙ্গে তার কাঁধের ধাক্কা লাগে তাহলে এই আচরণবিধি ভঙ্গ হবে।
সেক্ষেত্রে কোহলির এই আচরণবিধি ভঙ্গ করার নিময়ের মধ্যে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা
রয়েছে।