বিশ্বের
নানা প্রান্তে ছড়িয়ে-ছটিয়ে থাকা বাংলাদেশি ও বংশোদ্ভুত প্রবাসী ফুটবলারদের
জন্য বাংলাদেশ ফুটবল দলের দ্বার উন্মুক্ত। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন
(বাফুফে) প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ
(বৃহস্পতিবার) বিকেলে বাফুফে ভবনে আমেরিকান প্রবাসী ফুটবলার জায়ান আহমেদের
সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটু।
বাফুফের
টেকনিক্যাল বিভাগের কাছে জায়ানের জীবন বৃত্তান্ত, আমেরিকায় খেলার ভিডিও
ফুটেজ আগে থেকেই ছিল। জায়ানের বয়স এখন ২০। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে এএফসি
অ-২৩ টুর্নামেন্টে বাছাইয়ের ক্যাম্প ছাড়া জায়ানকে পরখের সুযোগ নেই বাফুফের।
ওই ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার আগেই জন্ম নিবন্ধন ও পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সেরে
রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর টিটু।
অনূর্ধ্ব-২৩
দলে সিনিয়র জাতীয় দলের অনেকেই খেলেন। পাশাপাশি শীর্ষ ফুটবলাররাও থাকেন
ঘরোয়া লিগে। তাই এই দলে চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া খুব সহজ হবে না।
এজন্য এখন থেকেই জায়ানকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাফুফের
টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। কয়েক মাস আগে এএফসি অ-১৭ টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে
অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী আরহাম এসেছিলেন। ট্রায়ালে ভালো পারফরম্যান্স করায়
তিনি চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা পান এবং বাংলাদেশের জার্সিও গায়ে জড়িয়েছেন।
জায়ানও নিজেকে ট্রায়ালে প্রমাণ করতে পারবেন বলে আশাবাদী, ‘আমি একটু সুযোগ
চাই নিজেকে প্রমাণ করার। ট্রায়ালে সেরাটা দিয়ে দলে জায়গা পাব বলে আশা
রাখি।’
ট্রায়ালে জায়ানকে নিজের উদ্যোগেই আসতে হবে। সেই অনুযায়ী
পরিকল্পনা করছেন জায়ানের বাবা শরীফ আহমেদ, ‘জুলাই-আগস্টের দিকে অনূর্ধ্ব-২৩
দলের ক্যাম্প হতে পারে। এর আগেই আমাদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের
পরামর্শ দিয়েছে ফেডারেশন। প্রয়োজনে তারা এই ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাসও
দিয়েছে।’
আমেরিকায় জন্ম ও বেড়ে উঠলেও জায়ানের স্বপ্ন বাংলাদেশ জাতীয়
ফুটবল দলের জার্সি গায়ে তোলা। তার বাবা ও মা দুইজনই বাংলাদেশি। বাবা শরীফ
আহমেদ সাবেক ফুটবলার। ১৯৯০ সালে জাতীয় অ-১৬ দলের স্কোয়াডেও ছিলেন। তারও
চাওয়া ছেলের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হোক। সপ্তাহ দু’য়েকের সফরে বাংলাদেশে
এসেছিলেন জায়ান ও শরীফ। ৩ জানুয়ারি তারা আবার আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা
হবেন। আমেরিকায় ভার্জিনিয়া রাজ্যের শীর্ষ পর্যায়ে খেলেন জায়ান।